রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


চাঁদাবাজির মামলা থেকে রেহাই পেতে তিন কথিত সাংবাদিকের মিথ্যা অভিযোগ


প্রকাশিত:
২৭ মে ২০২১ ২৩:৪৮

আপডেট:
২৭ মে ২০২১ ২৩:৫০

ছবি: প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) লাঞ্চিতের শিকার হয়েছেন কতিপয় সাংবাদিকরা। লাঞ্চিতের ঘটনায় কথিত তিন সাংবাদিকের ছবিসহ (২১ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের ভিডিও সহ “পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কথিত তিন সাংবাদিক লাঞ্চিত” এই শিরোনামে তাদের নিউজ প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনা থেকে রেহাই পেতে অভিনব কায়দায় ভোক্তভোগী হাজেরা বেগমের বড় ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করে মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু মান্দা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গেছে, উপজেলার পরানপুর ইউপির বামনগাঁ গ্রামের আব্দুল মতিনের স্ত্রী হাজেরা বেগমের সাথে প্রতিবেশী এক মহিলার মারপিটের ঘটনা ঘটে । এই ঘটনার জের ধরে কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু, হাবিবুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক হাজেরা বেগুমের নিকট গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। না দিলে অপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে। তখন নিরুপায় হয়ে হাজেরা বেগম তাদেরকে ৫শত টাকা ধরিয়ে দেন এবং বাকি ৫ হাজার ৫শত টাকা ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় গোপালপুর বাজারে দিতে চান। পরে হাজেরা বেগম তার ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টারকে ঐ বিষয় সম্পর্কে অবগত করলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু ও আব্দুর রাজ্জাককে কৌশলে বাজারে ডেকে এনে একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদেরকে লাঞ্চিত করেন। সেইসাথে হাজেরা বেগমের দেওয়া ৫শত টাকা আদায় করে নেয় তার ভাই। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী হাজেরা বেগম যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করেন সে জন্য ভোক্তভোগীর বড় ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টার সহ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ করেন কথিত সাংবাদিক মাহবুবুজ্জামান সেতু। কতিপয় কিছু সাংবাদিক আসল ঘটনাকে অন্য খাতে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন মহলে জোর তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগে যে সকল সাংবাদিকের নিউজ প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে মনগড়া ভাবে নাম দেওয়া হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেওয়া হবে।

 

 

আরপি/এসআর-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top