রাজশাহী শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ১লা চৈত্র ১৪৩১


হার্ট অ্যাটাক থেকে মুক্তি পেতে করণীয়


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৫

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:০৩

ছবি: সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাককে চিকিৎসার ভাষায় করোনারি থ্রমবোসিস বলা হয়। এটা মাংসপেশিগুলোর একটা অংশে রক্ত যোগান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়ার পরিণাম।

যেকোনো করোনারি ধমনী বা তার শাখাগুলোয় আকস্মিকভাবে ১০০ শতাংশ ব্লকেজ সৃষ্টি হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্টের মাংসপেশির জন্য রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাক নির্ভর করে বাস্তবে হার্টের মাংসপেশির কতটা অংশ অকার্যকর হয়েছে তার ওপর। যদি ৫ থেকে ১০ শতাংশ অকার্যকর হয়, তাহলে সেটা মাইনর এবং বেশিরভাগ রোগী বেঁচে যান। কিন্তু হার্টের মাংসপেশীর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অকার্যকর হলে মেজর হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক হঠাৎই হয়। এর কারণ হার্টে ব্লকেজের বৃদ্ধি পাওয়া। সাধারণত এই ব্লকেজের ওপরে এক পাতলা ঝিল্লির আবরণ থাকে। একে অ্যান্টিমা বলে, যা সমস্ত জমাকে একত্রিত করে। এই টান-টান ঝিল্লি বেশি পরিমাণে ফ্যাট জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যদি এ ঝিল্লির নিচে জমা ভাব এত বেশি হয়ে পড়ে যে, সেটা আর ছড়াতে না পারে, তাহলে ফেটে যায়। এ কারণে ধমনীর ভেতরে ক্লট বা থ্রোমবসিস তৈরি হয়, যা লুমেনকে পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়।

পেট ভরে ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে, হঠাৎ রেগে উঠলে বা অত্যধিক দুঃখ পেলে, মানসিক আঘাত বা মানসিক চাপে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক সকালের দিকে বেশি ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ ফ্যাটযুক্ত ব্লকেজ বেড়ে ওঠা। যদি ব্লকেজকে বাড়তে না দেওয়া হয়, তাহলে আবরণ ঝিল্লি কখনোই ফাটবে না।

এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম, যোগ, শারীরিক ওজন কম করা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি।
শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর না করে যদি নিজেদের জীবনযাপন পদ্ধতিকে পাল্টে নেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাক আর হতেই পারবে না।

বিশ্বে হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসার ৬০ বছরের প্রচলিত বাইপাস সার্জারি পদ্ধতির পরিবর্তে ‘বিনা অপারেশনে হৃদরোগ থেকে মুক্তির এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম সাওল। সাওল অর্থ (ঝঅঅঙখ- ঝপরবহপব অহফ অৎঃ ঙভ খরারহম) বিজ্ঞান ও জীবনযাপন পদ্ধতির সুন্দর বোঝাপড়া। আমেরিকার নতুন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির জনক ডা. ডিন অরনিশ। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতিতে মেনে চরার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পারেন।

 

আরপি/টিএস-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top