রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


লাল-সাদা, ভালো চিনি কোনটা?


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০২১ ২২:১৯

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৪০

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে একে একে বাড়ছে ভেজাল জিনিস। চারদিকে ভেজালের সয়লাব। তবে ব্যতিক্রম, মানুষ দিনে দিনে সচেতন হচ্ছে। কৃত্তিম খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। অনেকে সাদা চিনির পরিবর্তে লাল রঙ এর চিনি খুঁজে থাকেন।

যেভাবে উৎপন্ন হয় প্রাকৃতিক লাল চিনি:

চিনির সাথে গুড়ের অনুপাতকে আরও যত্ন সহকারে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপর উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য পরিশোধিত সাদা চিনির স্ফটিকগুলোতে আখের গুড় যুক্ত করে উৎপাদন হয় ব্রাউন চিনির। এই উপায়ে প্রস্তুত লাল চিনির প্রায়ই তার অপরিশোধিত সমতুল্যের তুলনায় অনেক মোটা হয়। তাই এ চিনিকে প্রাকৃতিক চিনিও বলা হয়।

সাদা চিনি:

আবার লাল চিনিকে বেশি পরিশোধিত করে সাদা চিনিতে রূপান্তর করা হয়। যে চিনির রং যত বেশি সাদা সে চিনি তত কম পুষ্টিসমৃদ্ধ। তত বেশি পরিশোধিত। তত কৃত্রিম।

সাদা ও লাল চিনির পুষ্টিতত্ত্ব:

স্বাদ ও গন্ধের দিক থেকে লাল চিনি সাদা চিনি থেকে অনেক উন্নত। লাল চিনি দিয়ে তৈরি খাবার হয় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

একশ গ্রাম লাল চিনিতে ৩৭৭ ক্যালরি রয়েছে। আর একই পরিমাণ সাদা চিনিতে ক্যালরির পরিমাণ ৩৮৩। এছাড়া ক্রিস্টাল আকারের কারণে লাল চিনি সাদা চিনির চেয়ে বেশি ঘন করে প্যাক করা হয়। ভলিউম দ্বারা পরিমাপকালেও ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকতে পারে।

বাদামি চিনির উপস্থিত খনিজ সাদা চিনির সাথে যুক্ত গুড় থেকে আসে। প্রাকৃতিক লাল চিনিতে পরিমাণে গুড় বেশি থাকে, এর কারণে এতে গৌণ পুষ্টিগুণ এবং খনিজ উপাদান থাকে।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top