রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কিটো ডায়েট ওজন কমাতে কতটা কার্যকরী


প্রকাশিত:
১৬ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩৪

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১২:৩১

ছবি: সংগৃহীত

 

ওজন কমিয়ে অল্প দিনেই স্লিম হওয়া যায় বলে আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লো কার্ব কিটো ডায়েট। যদিও একে কেউ কেউ বিপজ্জনক বলে মনে করছেন।

কিটো ‍ডায়েটে ৭৫ শতাংশ থাকে ফ্যাট, ২০ শতাংশ প্রোটিন আর মাত্র ৫শতাংশ কার্বোহাইডেট। উচ্চ চর্বি গ্রহণের কারণে বিশেষত ঘি, মাখন এবং পনিরের জন্য অনেকেই কিটো করতে ভয় পান।

তবে কিটো ডায়েট করে ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক অনেক ধরনের সমস্যাও কাটিয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন কয়েক জন কিটো ডায়েট ফলোয়ার।

আসুন জেনে নিই:

পিরিয়ড নিয়মিত হয়-রেসমি

আমি খুব আনন্দিত যে কিটো ডায়েট কার্বসের নির্ভরতা হ্রাস করতে সহায়তা করেছে। এই ডায়েটের বিরুদ্ধে বলেন অনেকে, তবে আমার অভিজ্ঞতা ভিন্ন।

কিটো ডায়েট মেনে চলার পর শরীর অনেক হালকা লাগে। আমার ত্বক অনেক বেশি ভালো হয়েছে।

খাবারের প্রতিও আমার দৃষ্টিভঙ্গির পরির্বতন হয়েছে। আগে যেখানে শুধু স্বাদের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতাম এখন পুষ্টির দিকটাও দেখি।

আর সব থেকে ভালো যে বিষয়টা হয়েছে, আমার পিরিয়ড অনিয়মিত ছিল, পিরিয়ডের সময় খুব পেটে ব্যথা হতো। এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলেছে কিটো ডায়েট করার পর।

কিটো ডায়েট মেনে চলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণশক্তি অনুভব করি। দুপুরে খাওয়ার পরই ঘুম পেত, এতে অফিসে কাজের সমস্যা হচ্ছিল, এটা দূর হয়েছে।

আর এই ‍ডায়েট আমার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেছে।

আগে খাবার দেখেই খেতে ইচ্ছা করত। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এখন আর আগের মতো সব সময় ক্ষুধা লাগে না।

আমার কর্মশক্তি বেড়েছে এবং মানসিকভাবেও অনেক শান্ত থাকি। হতাশা দূর হওয়ায় কাজে ও সবার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে।

কিটো করে আমি একটি নতুন ও কমপ্লিট লাইফস্টাইল পেয়েছি।

কিটো ডায়েট করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top