রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


আজ থেকে বুয়েটের সব হলে অভিযান


প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৫১

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৭

আজ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে হলে অভিযান চালাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দফতরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

শুক্রবার বুয়েট অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের আলোচনা শেষে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বুয়েটের সব হলে পাঁচজন করে সিনিয়র শিক্ষক নিয়ে অভিযান চালাবে বুয়েট প্রশাসন।

কার বিরুদ্ধে বা কোন বিষয়ে এই অভিযান? জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি হলেই বহিরাগতরা থাকে, সাবেক শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বের করে দেয়া হবে। এ ছাড়া মাদক ও অস্ত্রশস্ত্র যদি থাকে তা উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।

তিনি বলেন, পাস করেও ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকছেন হলে। তিন জনে রুমে একজন থাকা ও রাজনৈতিকভাবে দখল করা রুমের দখল মুক্ত করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুয়েটের অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বক্তব্যের শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। বলেন, ‘আমার কিছুটা ভুল হয়েছে, আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার ভুল আমি স্বীকার করেছি, তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও।’

‘আবরার আমার সন্তানের মতো ছিল। তোমাদের যেমন কষ্ট লাগছে তার মৃত্যুতে আমারও অনেক খারাপ লেগেছে। এটি আমি মেনে নিতে পারিনি। তার মৃত্যুতে দুঃখ তোমরা পেয়েছ, আমিও পেয়েছি। আমরা সকলেই মর্মাহত।’আবরার ফাহাদ হত্যায় বুয়েটের অভিযুক্ত ১৯ জনকে অস্থায়ী বহিষ্কার এবং বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। জানিয়েছেন, আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল রয়েছে বুয়েট ক্যাম্পাস।

 

আরপি/এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top