রাজশাহী শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


আবরার হত্যা

‘ফাঁসি চাই’ স্লোগানে উত্তাল বুয়েট


প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৫

আপডেট:
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের মারধরে নিহত আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আবরারের খুনিদের ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে বুয়েট ক্যাম্পাস।

আগের দিনের মতই বুধবার সকাল থেকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তুলে ধরা হয়েছে নতুন ১০ দফা দাবি। শিক্ষার্থীদের দেয়া ১০ দফা দাবির মধ্যে প্রধান হচ্ছে আবরার হত্যায় জড়িত সবার ফাঁসির দাবি। সেই সঙ্গে দুপুর ২ টার মধ্যে ভিসির জবাবদিহি।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে তিনজন এসব দাবি সাংবাদিকদের সামনে পড়ে শোনান। তাদের একজন প্রতিনিধি বলেন, বেঁধে দেয়া সময়ে দাবি পূরণ না করা হলে ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার পর স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস।

আবরার হত্যার বিচার দাবিতে মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে ফাসিঁ চেয়ে স্লোগান দেন তারা। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো স্লোগান দিতে দিতে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরছেন। কেউ কেউ ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ দাবিতেও স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ১৪ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১০ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top