রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক: রাবি উপাচার্য


প্রকাশিত:
২৫ অক্টোবর ২০২০ ২০:৫৩

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বেলা এগারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, " যেকোনো আমলযোগ্য অভিযোগের তদন্ত বাঞ্চনীয়। আমি তদন্তের বিপক্ষে নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ যথাযথ হলে তা তদন্তে একশভাগ সম্মত আছে। তবে সেই তদন্ত হতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়ায়/আইনসিদ্ধভাবে গঠিত পক্ষপাতহীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। এবিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি-এর চেয়ারম্যান মহোদয়কে পত্র দিয়ে জানিয়েছিলাম। "

উপাচার্য এসময় আরো বলেন, "আমি আশা করেছিলাম সেই পত্র বিবেচনায় নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বলাবাহুল্য প্রতিবেদনটি তাই একপেশে এবং পক্ষপাতমূলক।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে উপাচার্য এসব অভিযোগসমূহের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
এছাড়া ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়ে জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ৪৭২ তম সিন্ডিকেট সভার ৪৩ নং সিদ্ধান্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, ডীন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ ০৭ জনকে নিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগ নীতিমালা পুন:প্রণয়নকল্পে একটি কমিটি গঠন করা হয়। চার মাস পর কমিটির সুপারিশে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পুন:প্রণয়ন করা হয়। এই নীতিমালায় অনেক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। তবে মেয়ে জামাই, আত্মীয়কে নিয়োগ পাওয়ার পরই অভিযোগ তোলা হয়েছে মেয়ে জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, অশুভ রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে এমন একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছে। সংবাদপত্রের প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে জানতে পেরেছি আমার অর্থের অনুসন্ধান করা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো সংস্থা আমার অর্থের অনুসন্ধান করতে পারে। সেই সৎসাহস আমার আছে।

এদিকে নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সরে যাওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক বলে উত্তর করেন উপাচার্য। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে তিনি তো আর উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না এমন মন্তব্য করেন।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top