রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


পরীক্ষা ছাড়াই ঢাবিতে ভর্তিতে টিআইবি’র বক্তব্য..


প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:১৬

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৫:৪৩

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্র ভর্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

উত্থাপিত অভিযোগের ফলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। এটি মোকাবিলায় সৎসাহসের সঙ্গে অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, ভর্তি বিজ্ঞাপন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের ৩৪ নেতা ভর্তি হন। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের চিরকুটে ছাত্রলীগের ওই নেতারা ভর্তি হন। পরে তাদের মধ্যে আটজন ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত হন। এমন সংবাদ গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়।

ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলও উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানায়। গত সোমবার সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটি চরম অনিয়ম এবং অমার্জনীয় অপরাধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি সংক্রান্ত খবরে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’

জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এতে আওর বলা হয়, ‘এ অবৈধ ভর্তি প্রক্রিয়ায় জড়িতদের সবাইকে নৈতিক স্খলনের দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাদের জন্যই আজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের গর্বের স্থানটি পদদলিত হয়ে যাচ্ছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

টিআইবির দেয়া বিবৃতিতে আজ বলা হয়, ‘নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকে ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সূত্র ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক হলে তা হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। উত্থাপিত অভিযোগ বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ তথা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সকল প্রত্যাশার জন্য অশনি সংকেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অপরিহার্য, অন্যদিকে নিয়মনীতি অনুসরণ করে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে ভর্তিপ্রত্যাশী সকল শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও তেমন কর্তৃপক্ষের গুরু দায়িত্ব।’

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top