রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল রাজশাহী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ


প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৫

আপডেট:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১১

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন না পাওয়ায় ভবিশ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর বেসরকারী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর। এরই মধ্যে প্রথম ব্যাচের চারজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস পাশ করেও তাঁরা ইন্টার্নশীপ করতে পারছেন না। এনিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য সকল শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে।

আজ রোববার সকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ফলে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, এই কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত বছর মাত্র চারজন এমবিবিএস পাশ করেন গত বছরের মার্চে। কিন্তু এমবিবিএস পাশ করেও কলেজটির বিএমডিসি’র অনুমোদন না থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা গত এক বছর ধরে ইন্টার্নশীপ করতে পারছেন না। এতে করে তাঁরা প্র্যাক্টিস করারও অনুমতি পাচ্ছেন না। এমনকি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসকও হতে পারছেন না। ওই চার শিক্ষার্থী হলেন মামুনুর রশিদ, রুমা খাতুন, জিন্নাহ ও মৌ খাতুন।

সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় কলেজটিতে। এর মধ্যে প্রথম ২ ব্যাচ ও চতুর্থ ব্যাচে ২৫ জন করে এবং পরবর্তিতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন মিলে। তবে কলেজটিতে শুরু থেকেই অনুমোদন না থাকা, শিক্ষক সংকট এবং হাসপাতালে রোগী না থাকায় আসন ফাঁকায় থেকে যায়। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছেন কলেজটিতে।

এদিকে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, ‘বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো। তবে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো কারো দ্বারা প্ররোচণায় আন্দোলনে যাচ্ছে। তারপরেও তারা তাদের ন্যায্য দাবি উত্থাপন করতেই পারে।’

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কলেজে পরিদর্শন শেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে এই অনিয়ম রাবি কলেজ পরিদর্শকের নজরে আসার পর ২০১৬ সালে সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত করে।

 


 আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top