ঢাবির ভর্তি জালিয়াতি: ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক নাম প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানিয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ সেশনের মো. আব্দুল ওয়াহিদ (বিজয় একাত্তর হল), সৌভিক সরকার (জগন্নাথ হল), মো. মেহেদী হাসান (মুহসীন হল), মো. হাসিবুর রশীদ (বঙ্গবন্ধু হল), মো. মারুফ হাসান (জিয়া হল), ২০১৬-১৭ সেশনের ইসরাত জাহান ছন্দা (কুয়েত মৈত্রী হল), মো. ইছহাক আলী (স্যার এফ রহমান হল) ২০১৬-১৭ সেশনের আনিকা বৃষ্টি (বঙ্গমাতা হল), ফিউনা মহিউদ্দিন মৌমি (শামসুন্নাহার হল) মো. মাসুদ রানা (জিয়া হল), সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ সেশনের সালমান এফ রহমান হৃদয় (বিজয় একাত্তর হল), মো. রাকিবুল হাসান (স্যার এফ রহমান হল)।
ইংলিশ ফর স্পিকার অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সাফায়াতে নূর সাইয়ারা নোশিন (সুফিয়া কামাল হল), ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭ সেশনের জিএম রাফসান কবির (মুহসীন হল)।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মো. আবু জুনায়েদ সাকিব (একুশে হল), তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের মোস্তাফিজ-উর-রহমান (একুশে হল), ২০১৬-১৭ সেশনের মো. তৌহিদুল হাসান আকাশ (শহীদুল্লাহ হল)।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শরমিলা আক্তার আশা (বঙ্গমাতা হল), জাকিয়া সুলতানা (কুয়েত মৈত্রী হল), জেরিন হোসাইন (শামসুন্নাহার হল), আবির হাসান হৃদয় (জসীমউদ্দীন হল) ও ২০১৫-১৬ সেশনের মো. লাভলুর রহমান লাভলু (এফ রহমান হল)।
অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সামিয়া সুলতানা (সুফিয়া কামাল হল), সিনথিয়া আহম্মেদ (শামসুন্নাহার হল), জান্নাত সুলতানা (শামসুন্নাহার হল)।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের মো. আশরাফুল ইসলাম আরিফ (এফ রহমান হল), আলামিন পৃথক (সূর্যসেন হল), ২০১৫-১৬ সেশনের আমরিন আলম জুটি (বঙ্গমাতা হল), ২০১৭-১৮ সেশনের নওশীন আফরিন মিথিলা (মৈত্রী হল), টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের মেহজাবিন অনন্যা (রোকেয়া হল), মো. শাদমান শাহ (বিজয় একাত্তর হল)।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মাসুদ রানা (সলিমুল্লাহ মুসলিম হল), সাবিরুল ইসলাম (সূর্যসেন হল), ২০১৬-১৭ সেশনের ফাতেমা তুজ জোহরা (রোকেয়া হল)।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ইফতেখারুল আলম জিসান (বিজয় একাত্তর হল), ২০১৬-১৭ সেশনের নাফিসা তাসনিম বিন্তি (রোকেয়া হল)।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের আফসানা নওরিন ঋতু (বঙ্গমাতা হল), ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ফাতেমা আক্তার তামান্না (কুয়েত মৈত্রী হল)।
বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের এম ফাইন ফাইজার নাঈম (বঙ্গবন্ধু হল), ২০১৬-১৭ সেশনের জিয়াউল ইসলাম (সূর্যসেন হল)।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের তাজুল ইসলাম সম্রাট (মুহসীন হল), (নুরুল্লাহ মুহসীন হল), সাদিয়া সুলতানা (শামসুন্নাহার হল)।
বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শাশ্বত কুমার ঘোষ (জগন্নাথ হল), ২০১৬-১৭ সেশনের সাদিয়া সিগমা (মৈত্রী হল)।
ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন (সূর্যসেন হল), মো. আশেক মাহমুদ জয় (জহরুল হক হল)।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী সম্রাট (সূর্যসেন হল)।
আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সুবহা লিয়ানা তালুকদার (রোকেয়া হল) ও সালমান হাবীব আকাশ (মুহসীন হল), ২০১৭-১৮ সেশনের আজলান শাহ ফাহাদ (সূর্যসেন হল)।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের বেলাল হোসেন (সলিমুল্লাহ মুসলিম হল), মো. মশিউর রহমান (একুশে হল), ২০১৬-১৭ সেশনের মোরশেদা আক্তার (মৈত্রী হল), তানজিনা সুলতানা ইভা (শামসুন্নাহার হল)।
ফার্মেসি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, ২০১৬-১৭ সেশনের সাইদুর রহমান, ২০১৭-১৮ সেশনের আব্দুর রহমান। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭ সেশনের মো. মোহাইমিনুল রায়হান ফারুক (জহুরুল হক হল)।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের আবুল কালাম আজাদ (একুশে হল), সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিহাব হাসান খান ( সলিমু্ল্লাহ মুসলিম হল)।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মো. আবু মাসুম (জহুরুল হক হল), ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শাহাৎ আল ফেরদৌস ফাহিম (ফজলুল হক মুসলিম হল)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। তেমনি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশের জন্য কতগুলো প্রক্রিয়া আছে। নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর ‘৯ লাখ টাকায় ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে মেধাক্রম ৫ম!’ বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে বাংলানিউজ। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ভর্তির সুযোগ বাতিল করা হয়। পরবর্তীকালে সিআইডি ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সহযোগিতায় চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করা হয়। সার্বিক প্রক্রিয়া শেষ করে সবশেষ ৬৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে।
আরপি/এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: