রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


৫ ফেব্রুয়ারি হল সম্মেলন: রাবি ছাত্রলীগে প্রাণচাঞ্চল্য 


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৫০

আপডেট:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৫২

ফাইল ছবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘ চার বছর পর আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হলের দায়িত্বে কে আসবে- এ নিয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সেই সাথে পদপ্রত্যাশীরা ব্যানার-ফেস্টুন ও মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রুটিন করে দলীয় টেন্টে বেড়েছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস।
 
শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে হল সম্মেলন। এতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এবারের সম্মেলনে ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ৬টি আবাসিক হল নেতৃত্ব চূড়ান্ত করা হবে।
 
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২২ নভেম্বর দুই ভাগে ভাগ করে ছাত্রদের ১১টি হলের সম্মেলন করে তৎকালীন রানা-বিপ্লব কমিটি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯টি হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঝুলিয়ে রাখা হয় শের-ই-বাংলা ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখার কমিটি। এরপর থেকে আর হল কমিটি হয়নি।
 
ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে সৎ, যোগ্য, শিক্ষার্থীবান্ধব প্রার্থীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। সংগঠনের জন্য নিবেদিত ও সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারীরা অগ্রাধিকার পাবে। হল ছাত্রলীগ সুসংগঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এই বৃহত্তম শাখাটি আরও গতিশীল হবে।
 
শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে হল ইউনিট। হল ইউনিট যত সক্রিয় হবে রাজনীতি তত গতিশীল হবে। আসন্ন হল সম্মেলন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের সভাপতি পদপ্রার্থী হামিম আল সাফায়াত বলেন, দীর্ঘদিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে হলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের পদচারণা, শোডাউন, ব্যানার-ফেস্টুন, মিছিলসহ সব মিলিয়ে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলন হবে বলে আশা করছি।
 
মন্নুজান হলের সভাপতি পদপ্রার্থী জান্নাতুন নাঈমা আকন্দ জানা বলেন, এবার ছাত্রী হলগুলোতেও ছাত্রলীগের কমিটি হবে। এটি রাবি ছাত্রলীগের বড় অর্জন হবে বলে আমি মনে করি। হল কমিটিতে নীতিনির্ধারকরা যোগ্য, মেধাবী, ত্যাগী নেতাদের রাখবে এটাই আমার প্রত্যাশা। 
 
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, হল সম্মেলন ঘিরে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হল ইউনিটগুলো আরও সুসংগঠিত করে রাবি ছাত্রলীগ আরও গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া যারা নেতৃত্বের জায়গা থেকে সৎ, যোগ্য, দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করেছে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব বেছে নেয়া হবে।
 
 
আরপি/এসআর


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top