রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


মির্জা নার্সিং কলেজ

নার্সিং ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, বন্ধ হয়ে আছে ফরম পূরণ!


প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৩ ১৯:৫৮

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১৭:৩০

ফাইল ছবি

রাজশাহী মির্জা নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুকের বিরুদ্ধে। তবে টাকা দিতে না পারায় ওই ছাত্রীর ফরম ফিলাপ আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।

সম্প্রতি এ ঘটনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের কাছে দেওয়া এক লিখিত অভিযোগে এমন দাবি করেন ওই শিক্ষার্থী। যদিও পরে সুর পাল্টে ফেলেন তিনি।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম মতিজান খাতুন। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ এলাকার বাসিন্দা। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি।

লিখিত অভিযোগে মতিজান খাতুনের দাবি, ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। চুক্তি মোতবেক সেই টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। তবু তাকে ফরম ফিলাপ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফোনে তাকে কুপ্রস্তাব ও বন্ধুত্ব করতে বলেছেন কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে হাত ধরেন ও শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করেন কলেজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুক।

তবে এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে সুর পাল্টিয়ে ভিন্ন কথা বলেন অভিযোগকারী ছাত্রী। তিনি বলেন, কুপ্রস্তাবের ঘটনার কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই। কবে এমনটা হয়েছে সেটাও মনে নেই। তবে চুক্তি ভঙ্গ করে বাড়তি টাকা চেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিতে পারিনি তাই আমার ফরম ফিলাপ আটকে রেখেছে তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মির্জা নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুক বলেন, ওই ছাত্রীর ৯০ হাজার টাকা ডিউ (বাকি) রয়েছে। বাড়তি কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। এত বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ না করায় মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তার ফরম ফিলাপ না করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কুপ্রস্তাব দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ছয় মাসের মধ্যে তার সঙ্গে আমার দেখাই হয়নি। তার টাকার সমস্যা, কলেজে এসে সেটাও বলেনি। উল্টো আমাদের মানহানিমূলক কাজ করছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির রাজপাড়া থানার এসআই আব্দুল জলিল বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করা হবে।

এদিকে, মির্জা নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের ছাড়ে ভর্তির কথা বলে প্রলোভন দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অগ্রিম টাকা দিয়ে ভর্তির পর ঠিকমতো ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করানো হয় না। এসব অভিযোগ তুলে গত বছর আন্দোলনও করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা রাজপথে লাগাতার বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলেও এখনও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করেনি কলেজ প্রশাসন।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top