রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, প্রতিবাদে প্রশাসন ভবন অবরোধ


প্রকাশিত:
৪ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৩

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৬:৫২

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভদ্রা রোডের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে।

ছুরিকাহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল জাহেদ। তিনি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগীর সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে জাহেদ চারুকলা অনুষদের দিকে রাতের খাবার খেতে যান জাহেদ। খাওয়ার পর চারুকলা থেকে ভদ্রা যাওয়ার রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। এসময় বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে টাকা চায়। এসময় তার কাছে থাকা ২০০ টাকা তাদেরকে দিয়ে দেন। এরপর সে হাঁটতে শুরু করলে দুর্বৃত্তরা সামনে গিয়ে জাহেদের কাছে আরও টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

আহত শিক্ষার্থী চারুকলার পাশে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য চাইলে তেমন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।

তার শরীরের চার জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হলেও পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। এসময় তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন শুধু আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে।

ৎঁবিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশ মোতায়েন কেন করা হয়েছে এ নিয়ে তাদের প্রশ্ন? তারা তাদের দায়িত্ব বাদ দিয়ে সারাদিন লুডু খেলায় ব্যস্ত থাকেন। জাহেদের মতো আর কত শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরলে প্রশাসন ঠান্ডা হবে। দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন ভবন ত্যাগ করবেন না বলে প্রশাসনকে জানিয়ে দেন।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আওয়াল বলেন, আজকে আমার ভাইকে মেরেছে কাল আমার স্যারকে মারবে, পরশু আমার বোনকে মারবে আর প্রশাসন শুধু তদন্ত কমিটি গঠন করে আশ্বাস দিয়ে যাবে। ক্যাম্পাসের পুলিশেরা এখন লুডু পুলিশ হয়ে গেছে। আমাদের একটাই দাবি ওখানে কর্তব্যরত থাকা পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহি করতে হবে। এভাবে আর কত শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরলে প্রশাসনের টনক নড়বে। নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি এ শিক্ষার্থীর।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে পাঠাই। তাকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আর পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। ক্যাম্পাসের মতো একটা জায়গায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘঠছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো বলে জানান তিনি।

চন্দ্রিমা থানার পুলিশ পরিদর্শক এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, আমরা ঘটনা ঘটার পর থেকেই সতর্ক রয়েছি এবং দোষীদেরকে আটক করতে আমাদের টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব।

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top