রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সিনেমা হল স্টাফদের সঙ্গে জবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৪


প্রকাশিত:
৬ আগস্ট ২০২২ ০৯:৫০

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৬:৪৫

ছবি: সংগৃহিত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরান ঢাকার চিত্রা সিনেমা হলের স্টাফদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে পুরান ঢাকার চিত্রা সিনেমা হলের ভেতরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হলে ছবি দেখতে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘হাওয়া’ সিনেমার শো চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিটে বসা এবং সামনে দিয়ে বারবার যাওয়া-আসা নিয়ে হলের স্টাফদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্টাফরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বন্ধুরা খবর পেয়ে সেখানে গেলে স্টাফদের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, ১১তম ব্যাচের দেলোয়ার হোসেন, নিলয় চন্দ্র বালা এবং ইতিহাস বিভাগের ১৩তম ব্যাচের রুবেল হোসেন।

পরে কোতোয়ালী থানার পুলিশ, হলের ম্যানেজার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. রিফাত শেখ, মো. মেহেদী হাসান মুন ও মিনুন মাহফুজের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আর কোনো অভিযোগ নেই বলে লিখিত সাক্ষ্য দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন বলেন, সাড়ে তিনটার ‘হাওয়া’ সিনেমা শো দেখতে ৩টা ১০ মিনিটের সময় চিত্রা মহল হলে যাই। আমাদের টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখা ছিল। এরপর আমরা হলের দ্বিতীয় তলায় বসি। হাওয়া সিনেমা শো শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দর্শকদের সামনে দিয়ে হলের স্টাফ রমজান সিট নিয়ে বারবার যাওয়া করছিলেন। আমরা তাকে নিষেধ করি। এতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের ওপর তারা হামলা করে বসে। দ্বিতীয় তলায় থেকে নিচ তলায় এলে সেখানেও বেধরক মারপিট করে আমাদের। আমার হাত ব্যাথা করছে, মনে হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে।

আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। আমরা কোনো অন্যায় না করার পরও আমাদের ওপর হামলা করেছে।

সংঘর্ষের সাথে জড়িত হলের একাধিক স্টাফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি এখনও। খোঁজ নিয়ে দেখবো।

ঘটনা বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top