রাজশাহী শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতিকে অপহরণের চেষ্টা


প্রকাশিত:
২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৫১

আপডেট:
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৮

বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ও বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত সোয়া ৮ টার দিকে ডিসি বাসভবনের সামনে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এরপরে ওই রাতেই তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

শুক্রবার রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে ইসলামপাড়া থেকে রিকশাযোগে নবীনবাগ ফিরছিলাম। আনুমানিক রাত সোয়া ৮টার দিকে ডিসি অফিস এবং পৌরসভার মাঝের প্রধান সড়কে দুজন ব্যক্তি বাইক নিয়ে জোরপূর্বক আমার রিকশা থামায়। যাদের মধ্যে বাইকের পেছনে থাকা ব্যক্তির হাতে ব্যাডমিন্টন বা টেনিসের র‌্যাকেট ছিল।

এ সময় তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে বাইকে ওঠানোর চেষ্টা করে। তারা সিভিল পোশাকে থাকায় আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে পরিচয় না দিয়ে আমাকে হুমকি প্রদান করে। পরে আমি আত্মরক্ষার্থে তাৎক্ষণিকভাবে দৌড়ে নিকটস্থ কাশফুল রেস্টুরেন্টে আশ্রয় নেই। 

এরপর বাইক আরোহীরা তার পেছন দিক দিয়ে বাইকযোগে চলে যায়। এমন পরিস্থিতি জিনিয়া এবং বশেমুরবিপ্রবিসাস পরিবার শঙ্কিত।

বশেমুরবিপ্রবিসাস’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,  আমরা ধারণা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোসহীন ভূমিকার জন্য জিনিয়াসহ সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকদের একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়ার লক্ষ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধু সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে।

বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাজিউর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থী সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

আরপি/ এমএএইচ-২০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top