রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


ইসলামী নার্সিং কলেজ কর্মকর্তার কাণ্ডে আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের উদ্বেগ


প্রকাশিত:
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪১

আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪২

ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর সিদ্দিকের দুর্ব্যবহার, মা-বাবাকে তুলে গালাগাল ও বিষয়টি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি ভাষাসৈনিক পরিবারের সদস্য জননেতা সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার যৌথ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে দুর্নীতিবাজ ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে কলেজটিতে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানোর দাবিও জানানো হয়।

বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর সিদ্দিকের ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মা-বাবাকে তুলে গালাগাল, ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি ও টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তানভীর সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসও বন্ধ করে দিয়েছেন। সমাধাণের পথে না গিয়ে বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের কাছে ‘ভুল ম্যাসেজ’ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছেন- এমন ভ্রান্ত কথা ছড়ানো হচ্ছে। অথচ তারা শুধুমাত্র প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কারো বিরুদ্ধে নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন, ক্লাস করতে চাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরকে তাদের মা-বাবা তুলে গালাগাল করা হয়েছে। তবে সেটি টেলিফোনে সরাসরি মা-বাবাকে গালাগাল নয়। তারা বলেছেন, মির্ডটার্ম পরীক্ষার টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মূলত কর্মকর্তার সামনে তাদের শ্রেণীশিক্ষক ওই পরীক্ষার কোনো ডকুমেন্ট নেই বলেছিলেন। তখন তানভীর সিদ্দিক সেটি শুনেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। যেকারণে শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন, টাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তার দ্বারাই আত্মসাৎ হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীরা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। আর এসব নিয়ে কথা বলার কারণে ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে।

জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ নেতারা বিবৃতিতে আরো বলেন, পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই মূল বিষয়টি ফোকাস করে তানভীর সিদ্দিকের অপসারণের ব্যাপারে ভাবা দরকার। প্রয়োজনে তদন্ত করা যেতে পারে। এভাবে ক্লাস বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তার মুখে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। যার অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে হবে। একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীরা পুরো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে- এমনটা বলা মোটেও কাম্য নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top