পুলিশ-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে পুলিশের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরও কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের ইনফরমেশন সাপোর্ট টিমের পরিচালক মি. কেভিন কুনানান।
তিনি বলেন, যুবশক্তিই পারে একটি দেশের চিত্র পাল্টে দিতে। এজন্যই উগ্রবাদীরা উঠতি তরুণদের টার্গেট করে কথিত জিহাদের নামে সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। বাংলাদেশের তরুণরাই পারে এ উগ্রবাদের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগতে পারে তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মি. কুনানান আশা প্রকাশ করেন, এই ওয়ার্কশপ পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি তারা সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে ও অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবে।
মার্কিন দূতাবাসের ইনফরমেশন সাপোর্ট টিমের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানান, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে তারা উগ্রবাদ ও সহিংসতার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এর ফলে অনেককেই উগ্রবাদ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেও সহযোগিতা করেছেন। তাই এ কর্মসূচি আগামীতে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের (বিসিসিপি) পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, এসএলডিডব্লিউর টিম লিডার মেহের আফরোজ ও সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) বাদল হালদার।
ওয়ার্কশপে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ২১ জানুয়ারি প্রথম ব্যাচের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরপি/ এসআই-১৯
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: