চিকিৎসকের যৌন হয়রানির তদন্ত নিয়ে গড়িমসি, নার্সদের মানববন্ধন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক চিকিৎসকের হাতে নার্সের যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্ত নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সরা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি থেকে তারা চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মামুন-অর-রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়া ডিপ্লোমা করছেন। সেখান থেকেই কোর্স সম্পন্ন করতে এসেছেন রামেক হাসপাতালে। ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করা ডা. মামুন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। ছুটি নিয়ে তিনি অ্যানেসথেসিয়া কোর্স করছেন।
রামেক হাসপাতালে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেই কর্তব্যরত এক নার্সকে যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটিয়েছেন গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। কমিটিতে একজন নার্স, বাকি চারজন চিকিৎসক। তারা ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নার্সরা। এর প্রতিবাদেই তারা বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের রামেক হাসপাতাল শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রামেক শাখার সভাপতি শাহাদাতুন নূর লাকি। পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। সমাবেশে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ঘটনার পর লম্বা সময় পার হলেও অভিযুক্ত চিকিৎসককে শুধু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ছাড়া অন্য কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছেন। এই গড়িমসি তারা মেনে নেবেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসক পার পেলে তারা আরও বড় কর্মসূচি হাতে নেবেন।
জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, তদন্ত কমিটি নিজেদের মতো করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন আসেনি। তবে নার্সেরা বিক্ষোভ করলেন বলে শুনলাম। আমরা বিষয়টি দেখছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে ছাড় পাবেন না।
আরপি/এসআর-০৫
বিষয়: চিকিৎসক যৌন হয়রানি মানববন্ধন রামেক নার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: