রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

পৌরসভা নির্বাচন: বিদ্রোহী দমনে নৌকার পক্ষে সোচ্ছার আ.লীগ


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২১ ০১:১৪

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২২:৫৯

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী দমনে নৌকার পক্ষে একাট্টা হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের এর পৃষ্ঠপোষকতায় নৌকার পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

আসন্ন আগামী ১৬ জানুয়ারি আড়ানী পৌরসভার নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদের সমর্থনে প্রতিদিনই পৌর এলাকায় নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করছেন উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। রোববার (১০ জানুয়ারী) নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে মিছিল বের করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নৌকার পক্ষে পথসভা করেন। শনিবার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যুবলীগের জেলা ও উপজেলা নেতারা শহীদুজ্জামানের সমর্থনে নৌকার প্রচারণা চালান। এসব নেতাকর্মীর গণসংযোগের ফলে ভোটাররা দারুণভাবে উজ্জীবিত হচ্ছেন। তারা পৌর এলাকার ভোটারদের দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

নৌকার পক্ষে ৪ শতাধিক ভ্যান, অটো রিকসা, উলকা, ভটভটিসহ প্রার্থীকে নিয়ে একটি মিছিল গণজোয়ার সৃষ্টি করে। তার পক্ষে ওয়ার্ডের শত শত মানুষ নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে। আড়ানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থেকে শুরু মিছিলটি আড়ানী পৌর বাজার, চকসিংগা, রুস্তরমপুর, পিয়াদাপাড়া, সাহাপুর, আড়ানী রেলস্টেশন, চকরপাড়া হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

নৌকার প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদ বলেন, পৌরসভায় বিগত ১৫ বছরে যেসব উন্নয়ন হয়নি, আমি আওয়ামীলীগের পৌর সভাপতি হয়ে উন্নয়ন ভূমিকা রেখেছি। আমি নির্বাচিত হয়ে আড়ানী পৌরসভাকে মড়েল পৌরসভা করতে চাই। তাই আওয়ামলীলীগ সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান করেন।

এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী একেবারেই নীরব। মাঝে মধ্যে তাকে একা একা গণসংযোগ করতে দেখা যায়। পথে ঘাটে ধানের শীষের কিছু পোস্টার লাগানো হলেও দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখে ধানের শীষের প্রচারনায় তেমন আমেজ লক্ষ করা যায়নি।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তোজাম্মেল হকের সঙ্গে উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর পর আর তাদের ধানের শীষের প্রচারণায় কোনো দিন পৌর এলাকায় দেখা যায়নি। তোজাম্মেল হক বলেন, একা একাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছি। তিনি সুষ্ঠু ভোট দাবি করেন।

অপর দিকে বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী জানান, আমার কাছে প্রতীক কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্যক্তি। আমি নিয়মিত গণসংযোগ ও প্রচার মিছিল করছি। নারিকেল গাছ প্রতীক ভোট দিয়ে উন্নয়ন করার সুযোগের আবেদন করেন তিনি।

 

আরপি / এমবি-৬ 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top