রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ১৩


প্রকাশিত:
১০ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:১৯

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১০

প্রতীকি ছবি

রাজশাহীর চারঘাটে রেজাউল করিম (৫০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার পর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। অপর দিকে পুলিশের উপর হামলা, সরকারী কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অপরাধে আরো ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুঠিয়া থানা পুলিশ।

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া থানার দীঘলকান্দী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শিবপুর এলাকার হালিমের ছেলে রেজাউল করিম মারা যান। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই নিহত রেজাউল করিমের ছেলে আব্দুল্লাহ মন্ডল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

অপর দিকে ওই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা, সরকারী কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানামাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চারঘাট ও পুঠিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে দীঘলকান্দী গ্রামের ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এ দিকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের রেজাউল করিম হত্যাকান্ডের পর থেকে পুলিশের গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামবাসীর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত শনিবার দুপুরের দিকে চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়া থানা পুলিশ সমঝোতার চেষ্টার সময় অতর্কিতভাবে দীঘলকান্দী গ্রামের কয়েকজন যুবক শিবপুর গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে শিবপুর গ্রামের হালিমের ছেলে রেজাউল করিম মারা যান।ওসি বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত রয়েছেন আমরা তাদের সকলকই আইনের আওতায় আনতে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছি।


আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top