রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় করাত-কল স্থাপন, শব্দে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা


প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২১ ০১:২৭

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৪:৩৯

চারঘাটে জনবসতিপূর্ণ এলাকার করাত-কল

নীতিমালা অমান্য করে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মৌগাছী গ্রামে জনবসতিপূর্ণ এলকায় একটি করাত-কল (স’মিল) স্থাপন করা হয়েছে। সেই করাতকলের শব্দ ও কাঠের গুড়া উড়ে এসে চোখে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও  সাধারণ জনসাধারণ।

বিষয়টি অবগত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিঘ্ন সৃষ্টি করে এরূপ কোনো স্থানের ন্যূনতম ২০০ (দুইশত) মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না।

কিন্তু এ নিয়ম অমান্য করেই এক বছর আগে জনবসতিপূর্ন এলাকায় করাতকলটি স্থাপন করেন আতিকুর রহমান নামে এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তিনি একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। করাতকল স্থাপনের শুরুতে স্থানীয়রা নিষেধ করলেও আতিকুর রহমান কর্ণপাত করেননি। তিনি মামলা ও নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে করাতকলটি চলমান রেখেছেন।

নাঈম ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, করাতকলের শব্দে আমরা সবাই অতিষ্ঠ। রাত-দিন করাতকলের শব্দে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা করাতকলটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার কথা বললেও আতিকুর রহমান দাপটের সাথে তা চালিয়ে যাচ্ছে।

আবাসিক এলাকায় করাতকল স্থাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আতিকুর রহমান বলেন, করাতকল চালানোর জন্য উপজেলা প্রশাসন ও বন কর্মকর্তাসহ সকল অনুমতিপত্র আমার আছে। কারও সমস্যা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব আমার না। এলাকাবাসী আমার কাছে চাঁদাবাজী করছে। চাঁদা না পেয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে ঐ করাতকল স্থাপনে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি। করাতকলের বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা বন কর্মকর্তা এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এর আগে আতিকুর রহমানের করাতকলটি কে বন বিভাগ থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছিল। তখন সেখানে জনবসতি কম ছিল। তবে এখন জনবসতি বেড়ে গেছে। নতুন করে ঐ করাতকলকে আর অনুমতিপত্র দেওয়া হবেনা। আমার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় গুলো উল্লেখ থাকবে।

 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top