রাজশাহীতে মা-মেয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মা-মেয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। নিহত গৃহবধূর স্বামী বুধবার বিকালে আদালতে এই জবানবন্দী দেন। পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে পুঠিয়া পৌরসভার গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পলি খাতুন (২০) এবং তার ছয় মাস বয়সী শিশুকন্যা ফরিহা। নেশার টাকার জন্য পলির স্বামী ফিরোজ আলী (২৬) তাদের হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার রাতেই ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গাবতলী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
ফিরোজ আলী বিয়ের আগে থেকেই নেশাগ্রস্থ ছিলেন। চার বছর আগে পুঠিয়া পৌরসভার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার জুলহাস আলীর মেয়ে পলি খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য তিনি বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। এ নিয়ে তার স্ত্রীর পলির সাথে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো। মাঝে মধ্যে ফিরোজ তার স্ত্রীকে শারীরীক নির্যাতন চালাতেন।
পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দাফনকাজ শেষ করে রাতে নিহত গৃহবধূর ভাই থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ফিরোজ ছাড়াও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ফিরোজের বাবা-মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর বুধবার দুপুরে মামলার সব আসামিকেই আদালতে তোলা হয়। এ সময় ফিরোজ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। তিনি বলেছেন, টাকা-পয়সার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করেছেন তিনি। জবানবন্দী গ্রহণ শেষ হলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান।
আরপি / এমবি-৯
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: