রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে


প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০১

আপডেট:
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০৩

ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি

রাজশাহীতে কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে । সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা। রাতে শিশির কণায় সিক্ত হচ্ছে গাছপালা, রাস্তাঘাট। সকাল হয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে সূর্যের। আবহাওয়া অফিস বলছে, অগ্রাহায়ণ মাস শেষ পান্তে। সামনে পৌষ, সাধারণত পৌষ-মাঘ মাসে শীত পড়ে।তবে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতও বাড়ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বৃহস্পতিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড  করা হয়েছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ ও সন্ধ্যায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯১ শতাংশ। এখন প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। তবে দিনের তুলনায় রাতে তাপমাত্রা কমার সাথে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

এদিকে,  নগরীতে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের অধিকাংশ সময় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন তারা। 

নগরীতে বিনোদপুর, গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকায় শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে এসে বসে থাকতে দেখা গেছে। এন্তাজুল হক নামের এক শ্রমিক জানান, তারা প্রতিদিন এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। এখন থেকে তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজে যান। কয়েকদিন থেকে বেশ শীত পড়ছে। সকালের দিকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। কাজে না বের হয়ে উপায় কী? বসে থাকলে খেতে পাওয়া যাবে না। তাই খুব সকালে তারা এখানে বসে থাকেন কাজের সন্ধানে। যাদের শ্রমিক প্রয়োজন তারা ডেকে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে শীতের হিমেল বাতাসে বেকায়দায় পড়েছে, রিকশা, অটো রিকশা ও ভ্যান চালকরাও। সাহাবুদ্দিন নামের এক অটো রিকশা চালক জানান, শীতের সময় সারাদিনই কুয়াশা পড়ে। গাড়ি চালালে বাতাস লাগে। উপাই নেই, অন্য কোনো কাজ শিখিনি যে করে খাবো। কি শীত, কি বর্ষা, চাকা ঘুরলে টাকা উপার্জন হয়, না হলে নাই।

এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরম পোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে। নগরীর বাজারগুলোতে শীতের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভীড় ছিলো ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

 

আরপি/ এমআই 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top