রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাজশাহী অঞ্চলে কদর বাড়ছে গরম কাপড়ের


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২০ ২১:০০

আপডেট:
২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৫

ফাইল ছবি

প্রকৃতিতে এখনো জেঁকে বসেনি শীত। দিনের বেলা রোদের রাজত্ব শেষে বিকেল হলেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে শীতের আবহ বেশ আঁচ করা যাচ্ছে। যদিও রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পেরে ওঠেনি শীত। তবে কমছে রোদের সেই কড়া তাপ। আর এরই সঙ্গে কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের।

দাম, গুনগত মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহীর বাজারগুলোতে । তবে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে ব্লেজার, ছোটদের গরম কাপরের সেট, টুপিসহ আরও অনেক পোশাক।


বড় দোকানগুলোতে এসেছে ফুল হাতা টি-শার্ট, হুডি, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাপড়ের তৈরি জুতা, ঘরে পরার উলের জুতা ও কম্বল। এসব পোশাকের দামও নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার ও কোর্ট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতে ছোটদের পোশাকের চাহিদাই বেশি চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বড়দের পোশাকও।

ফুটপাতে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের গরম পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, মাফলার ও নতুন ডিজাইনের কানটুপি। 

ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এসব বাজারে রয়েছে গেঞ্জি বা ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুল হাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর ব্লেজার।

এছাড়া বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের কম্বল। নানা ডিজাইনের এসব কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে। এক্সপোর্ট কম্বলের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। কম্বলের দোকানে ক্রেতার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

নগরীর গনকপাড়ার ফুটপাত ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, আমাদের এখানে গরম কাপেড়ের বিক্রি আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের কাপড়। এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত বেশি হলে কাপড়ের দাম আরও বেড়ে যাবে। প্রতিবছরের মতো এবারও গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি।

 

আরপি/এমআই 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top