রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন

সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ: আহত ৭


প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:০২

আপডেট:
৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৮

সংঘর্ষে আহত

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুরুতরসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল ৮টায় রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কমিউনিটি সেন্টারে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টার দিকে ভোটকেন্দ্রে সামনের সড়কে সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়। এই সংঘর্ষ এবং লাঠিপেটায় সাতজন আহত হন। 

সংঘর্ষ হয় সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ও মমিনুল ইসলাম মমিনের সমর্থকদের মধ্যে।

রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্স সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর সাতজনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সংঘর্ষের পর ভোটকেন্দ্রের চারপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ এবং র‍্যাব সদস্যরা উপস্থিত হয়। ভোটগ্রহণের সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু যারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে গেছেন তাদের ভোট নির্ধারিত সময়ের পরেও গ্রহণ করা হয়। তবে নতুন করে আর কোনো শ্রমিককে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। 

ইট ভাঙচুর

নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১১১ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদের চার প্রার্থী হলেন, কামাল হোসেন রবি, জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী ও রফিকুল ইসলাম রফিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদের তিন প্রার্থী হলেন, মমিনুল ইসলাম মমিন, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ও সাইরুল ইসলাম।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকর। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার ও সিরাজী শওকত সালেহীন এলেন। এই নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৪২০ জন। 

এর আগে, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৭ সালের ২৪ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেদিন ভোট গণনা শেষ হলেই ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনারদেরও। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। অবশেষে গত ২২ জুন রাজশাহী এসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দায়িত্ব দিয়ে যান। গঠন করা হয় নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটিও। তিন মাসের মাথায় সেই কমিটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করলো।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top