চারঘাটে ভাইকে ফাঁসাতে বাড়ি দখলের মামলা

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বড় ভাইকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বসত বাড়ি দখলের মিথ্যে মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ধর্মহাটা গ্রামের মৃত আবুল কাশেম শাহের ছেলে রাশেদুল ইসলাম তাঁর বড় ভাই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম মৃত্যুর আগে তার তিন ছেলে রফিকুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান ও রাশেদুল ইসলামের নামে বাড়িভিটা রেজিস্ট্রি করে দিয়ে যান। ঐ সম্পত্ত্বিতে তিন ভাইয়ের যৌথ খরচে একটি কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। নির্মানাধীন বাড়িটি রফিকুল ইসলাম একা দখল করছে বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
মামলার বিবাদী রাশেদুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরের ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে রাশেদুলের বসতবাড়ীর জায়গাসহ ঘরবাড়ি এক সালীশি বৈঠকের মাধ্যমে আমাকে দেওয়া হয়েছে। তখন টাকা না থাকায় রাশেদুল নিজের ইচ্ছায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সকলের সামনে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত টাকা পরিশোধের সময় দেয়। টাকা পরিশোধের পর জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই অনুযায়ী প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করে আমি বাড়ির কাজ শুরু করি। এখন রাশেদুল ফের বাড়ির মালিকানা চেয়ে বসলে আমি দিতে অস্বীকার করি। পরে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু বলেন, ‘রাশেদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ বিষয়ে আমি অবগত আছি। পৈত্রিক বাড়িভিটা রাশেদুলের অংশ সে নিজের ইচ্ছায় বাজারমূল্যে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁর বড়ভাই রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। একটা সালিশী সভার সকলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটা করা হয়েছে। এখন রাশেদুল সম্পূর্ণ জোর করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে।’
একই এলাকার সোনাউদ্দিন, শাজাহান আলী,আব্দুস সাত্তার মাষ্টার, নাজিম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, লিয়াকত আলী সহ এলাকাবাসী জানায়, ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে রাশেদুল জমি এবং বাড়ি তাঁর ভাই রফিকুলের কাছে বিক্রি করে দেয়। সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সদস্যসহ এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতেই ফায়সালা হয়েছে। তখন টাকা না থাকায় রফিকুল দিতে পারেনি বিধায় রেজিস্ট্রি হয়নি।
৬ লাখ টাকার বিনিময়ে জমিসহ বাড়ি বিক্রি বিষয়ে মামলার বাদী রাশেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সালিশ একটা হয়েছিল কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। আমি চারঘাট থানায় অভিযোগ করেছিলাম, তদন্ত হয়নি। ৬ লাখ টাকা বিষয়ে কোন কথা হয়নি।’
জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (অসি) সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, ‘রাশেদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম নামের কোন মামলা থানায় নেই। হয়ত জেলা আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।’
আরপি/এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: