রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

রামেক হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে রাবি ছাত্রের মৃত্যু


প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২০ ২১:৪৭

আপডেট:
১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৫৯

আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে বেড খালি থাকা সত্বেও পরিচালকের অনুমতি না থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে হাসপাতালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে দুপুর ১টার দিকে মারা যান ওই শিক্ষার্থী।

মৃত মামুন রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে ও রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মহানগরীর লোকনাথ স্কুল মার্কেটের কাছে ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ থাকতেন। মামুন আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন। সম্প্রতি জন্ডিসের কারণে তার কিডনি ‘বিকল’ হয়ে যায় বলে তার সহপাঠীরা জানান।

মামুনের সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৪টার দিকে মামুনকে হাসপাতালে ভর্তিও পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ’র প্রয়োজন পড়ে। তারা আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়। তবে এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান।

তিনি আরও জানান, সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু এরইমধ্যে মারা যান মামুন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, মামুনের বাবা ও তার তিনজন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিলেন। হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা করতে আমার সহযোগিতা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন তারা। রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র আইসিইউ’র জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ করে। ঘুমিয়ে থাকায় তখন তাদের মেসেজের সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থী মারা যান।

তিনি বলেন, বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। তিনি যদি আইসিইউ পেতেন তাহলে চিকিৎসাটা আরো ভালো হতো। এমন দুঃসংবাদ আসতো কি-না সেটা জানি না।

এবিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top