রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে শ্রমিক লীগ সভাপতি

দখল বাণিজ্য করে জুয়ার আসর


প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:২৯

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৫:১৫

রাজশাহী উন্নয়ন সংস্থার (আরডিএ) শ্রমিক লীগের সভাপতি মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে নির্মিত ঘরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে মিলনের রাজনৈতিক পরিচয়ের ভয়ে মুখ খুলছেন না স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তারা।

মিলন হোসেন নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে স্থানীয়রা তাকে জমির দালাল হিসেবেই চেনেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হাউজিং কোয়ার্টারের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটি বিশাল জায়গা দখল করে সেখানে মিলন টিন দিয়ে একটি ঘর তৈরি করেছেন। দরজায় আঁকানো হয়েছে জাতীয় পতাকা। ঘরের বাইরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। স্থানীয়দের অভিযোগ- এই ঘরটিতে রাতের আঁধারে নিয়মিত বসে জুয়ার আড্ডা। ঘরটিতে মিলন হোসেন আগে তার ছবি ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ছবি টানিয়ে রেখেছিলেন। সম্প্রতি সরকারি অভিযানের পর মিলন ছবি দুটি খুলে ফেলেন।


স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, এই কার্যালয়কে ঘিরে সেখানে এরই মধ্যে আরো কয়েকটি দোকান গড়ে উঠেছে। এর সবগুলোই রাস্তা সংলগ্ন জায়গা অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। দিনেরবেলা স্থানটি তেমন ভিড় চোখে না পড়লেও সন্ধ্যার পর থেকেই এই মোড়টিতে ভিড় বাড়তে থাকে। স্থানীয় যুবকদের পাশপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন এসে নিয়মিত জুয়ার আসরে বসেন। অবৈধ দখলদারদের কারণে রাস্তাটিতে এখন প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এমনিতেই মাদক, জুয়াসহ উশৃঙ্খল যুবকদের জন্য কুখ্যাত। এখানে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা। তার ওপর বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে কার্যালয়ের ভেতর জুয়া খেলা হচ্ছে। একই অভিযোগ করে স্থানীয় আরেকজন বাসিন্দা জানান, এখান থেকে একটু পাশেই রয়েছে চন্দ্রিমা থানা। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এমন অন্যায় কর্মকাণ্ড হচ্ছে। প্রশাসনের নিরব থাকার কারণে স্থানীয়রাও কাউকে অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এদিকে জমি ও মার্কেট দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে মিলন হোসেন জানান, ওই ঘরে স্থানীয় বয়স্করা রাতে আড্ডা দেয়। স্থানটি তার দখল করা না। চন্দ্রিমা আবাসিকে অবস্থিত মার্কেটে তার দোকান কেনা রয়েছে।

জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরপি/এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top