রাজশাহী বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫, ২০শে চৈত্র ১৪৩১

রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক

নেতাকে ঘরে আটকে রেখে লাঞ্চিত করলেন চাঁদ


প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:১৬

আপডেট:
২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪৩

বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ অপর এক নেতাকে ঘরে আটকে রেখে লাঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার চাঁদ এর আহবানে তার নিজ বাসায় দূর্গাপুর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি নিয়ে আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার ভুক্তভোগী দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির (বুলু) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত শনিবার (২১ সেপ্টম্বর) রাত ৯টায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ তার নিজ বাসায় দূর্গাপুর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান করেন।

এসময় উপজেলা, পৌরসভার সিনিয়র নেতা, ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত হন এবং কমিটির বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করা হয়।

আলোচনা শুরু হওয়া মাত্র জেলা আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ অপর এক নেতা দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির (বুলু) কে ঘরে আটকে রেখে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।

এসময় জেলা আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ আশরাফুল কবিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কমিটি নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ নাই। আপনি কেন পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন।

এসময় আশরাফুল কবির এ কথার প্রতিবাদ করা মাত্র সে আরো উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আশরাফুল কবিরের শার্টের কলার ধরে ধস্তাধস্তি করে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং চেয়ারে বসতে বাধ্য করে বলে, তোর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা পাব, এই বলে তার ড্রয়িং রুমের দরজা আটকে দেয়। এবং টাকা না দিয়ে এখান থেকে যেতে পারবি না বলে আশরাফুল কবিরকে হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে পুঠিয়া- দূর্গাপুরের সাবেক এমপি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে, তার ব্যাংকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ আছে। সে আর কোন দিন পুঠিয়া-দূর্গাপুরে নির্বাচন করতে পারবে না এবং করতে দেওয়া হবে না। তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেবে।

এরপর তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট কবির হোসেনকে মেরে পঙ্গু করেছি। এই বলে তাকেও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে।

এদিকে, আশরাফুল কবিরকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর সাবেক চেয়ারম্যান রেজা, আয়নাল, মাসুদ, রবিনসহ সকল নেতৃবৃন্দ মিলে দরজা খুলে উদ্ধার করে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবি জানিয়েছেন দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির (বুলু)।

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top