রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

গোদাগাড়ীতে বীর বিক্রম আব্দুল খালেকের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাফন


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২০ ০২:০০

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫০

 বীর বিক্রম আব্দুল খালেকের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাফন। ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম আব্দুল খালেক (৮৩) এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদার মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ী এলাকার চাঁপাল গ্রামের নিজ বাসভবনের সামনে গোদাগাড়ী মডেল থানার পুলিশের একদল চৌকস পুলিশের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলমগীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অশোক কুমার চৌধুরী প্রমুখ।এছাড়াও উপজেলা অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার জনগণ জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি চাঁপাল গ্রামের মৃতঃ কামিরুদ্দীন মন্ডল ছেলে। গত বুধবার রাত ১ টা ৫৮ মিনিটের দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,২ পুত্র, ২ কন্যা, নাতি-নাতনী সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে ৪ হাজার টাকা তুলে দেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, বীর বিক্রম আবদুল খালেক ১৯৬৩ সালের ১ জুন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর মা-বাবার বিশেষ অনুরোধে চাকরি ছেড়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ চলাকালে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বুকে গুলি লাগে। এরপরও তিনি বেঁচে যান।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে তাঁর পরিবারের ওপর রাজাকারেরা নানা অত্যাচার শুরু করে। বাড়িঘর লুট করে নিয়ে যায়। একের পর এক মামলা দিতে থাকে।

২০১১ সালে জনতা ব্যাংক প্রকাশিত ঠিকানাবিহীন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা দেখে তাঁরা গেজেট সংশোধনের আবেদন করেন। সে আবেদন মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে যায়। গত বছর নতুন করে আবার আবেদন করেন। এরপর চলতি বছর ২৪ মার্চ নতুন প্রজ্ঞাপনে তাঁর বাবার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়সহ তাঁকে বীর বিক্রম উপাধি দেওয়া হয়।

 

আরপি/আআ-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top