রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরে মিথ্যা মামলায় ঘর ছাড়া নিরীহ মানুষ


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৯

আপডেট:
৩১ জুলাই ২০২০ ০১:০৩

মাছ পরিবহন করায় চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা। ছবি: রাজশাহী পোস্ট

একটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের কয়েকজন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামিরা।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, মাড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন বাগমারার বিলে মাছ চাষ করেন প্রভাবশালী আব্দুল হালিম, শাহাদসহ কয়েকজন। তারা মাছ পরিবহনের জন্য মাড়িয়া গ্রামের ভিতরের পাকা রাস্তাটি ব্যবহার করে যান চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলেন। গত ২৮ জুন মাড়িয়া গ্রামের লোকজন রাস্তা নষ্ট করে মাছ পরিবহনে বাধা প্রয়োগ করেন।

এ সময় এলাকাবাসী দাবি তোলেন, ওই রাস্তা দিয়ে মাছ পরিবহন করতে হলে তাদের রাস্তা সংস্কার করতে হবে।

এ সময় মামলার বাদি আব্দুল হালিম, শাহাদ আলীসহ তার কয়েকজন অনুসারীকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। এরপর গ্রামবাসীর সাথে তাদের বাকবিতান্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করে। পরে প্রভাবশালী আব্দুল হালিম কৌশলে মাড়িয়ার গ্রামের ৫ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব শেখ বলেন, গ্রামবাসী রাস্তা সংস্কার করে মাছ পরিবহন করতে চাপ প্রয়োগ করলে তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। এতে গ্রামের লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও মামলার বাদিরা গ্রামবাসীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তারা তাদের নিজের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে গ্রামবাসী ফাঁসাবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন। এতে মাড়িয়া গ্রামের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

স্থানীয় মাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর, ইসরাফিল, দেলোয়ার হোসেন, মতিউর রহমান-সহ অনেকেই জানান, এলাকাবাসীর দাবি ছিল, তারা যেন রাস্তাটি সংস্কার করে মাছের ট্রাক নিয়ে যান। এজন্য এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার প্রতিবাদও করে।

কিন্তু এ বিষয়ে তারা কর্ণপাত না করে উল্টো ওই রাস্তা দিয়ে মাছ পরিবহন অব্যাহত রাখার জন্য গ্রামবাসীকে দাবিয়ে রাখতে কৌশলে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা গ্রামের সহজ সরল খেটে খাওয়া মানুষ।

গ্রামবাসী আরও বলেন, তারা নিজেদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলার হুমকি তো দিচ্ছেই; এছাড়াও গ্রামের কয়েকজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে জঙ্গী মামলায় ফাঁসানোর ভয়ও দেখিয়েছেন ওই প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জানা গেছে, ঘর ছেড়ে বাইরে থাকা মামলার আসামীদের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে আবারও প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীরা তাদেরকে নানারকম হয়রানির মধ্যে ফেলবে এমন শঙ্কায় রয়েছেন এই নিরীহ মানুষজন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকতার বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। নিরাপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন তা দেখা হবে।

 

আরপি/আআ-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top