রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বাঘায় পদ্মার বাঁধে ভাঙন, জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা


প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০২০ ২৩:২৯

আপডেট:
২০ জুলাই ২০২০ ২৩:৩২

বাঘা উপজেলার আলাইপুর নাপিতপাড়া এলাকায় পদ্দমার বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের নাপিতপাড়া এলাকায় পদ্মার বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার (১৮ জুলাই) এই জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। পদ্মার গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙনের ফলে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের নাপিতপাড়া এলাকায় পনেরো বাড়িসহ উপজেলার খায়েরহাট শিমুলতলার ঘাট পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।

জানা যায়, পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের নাপিতপাড়াসহ বাধ এলাকায় ভাঙনের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করে। বিষয়টি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ঘটনাস্থল দেখে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে নাপিতপাড়ার এলাকা রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় পদ্মার তীরবর্তী পনেরোটি বাড়ি রয়েছে হুমকির মুখে।বাসিন্দার মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক ।

পদ্মার পাড় কয়েক বছর থেকে ব্যাপকভাবে ভাঙছে। এই ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর পর্যন্ত ১২.১ কিলোমিটার পদ্মা নদীর বাঁধের কাজ চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী চার অর্থ বছরে সম্পূর্ণ করার নির্দেশনা দিয়ে ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার আগে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে কোন উপায় না পেয়ে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি অস্থায়ীভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোমবার সকালে ভাঙনকবলিত বাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র ম্রোতের কারণে বাঁধের তলদেশে ভাঙছে। বাঁধের এই নাজুক পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। তারপরও এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা নিয়ে স্থানীয় শাহিনুর রহমান বলেন,আমার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি যেকোন সময় নদীগর্ভে বিলীন যেতে পারে।আমাদের বাড়ির পাশে তেমন জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি।যতটুকু ফেলা হয়েছে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

চলতি মাসের প্রথম দিকে আকস্মিকভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি হতে শুরু করে। এক সপ্তাহে পানি বৃদ্ধিও কারনে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতাও বাড়ছে।

পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় চলতি বছরে ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাঁধ নির্মান প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হবে। তবে ভাঙনস্থানে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে যেতো। আগেই ব্যবস্থা করায় এলাকা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তারপরও ঝুঁকিতে রয়েছে বাঁধটি।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান বলেন, বাঘার পদ্মা নদীর আলাইপুর এলাকার নাপিতপাড়া নামকস্থানে সামান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এ নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top