রাজশাহী শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত:
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৪১

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৩

রায় ঘোষণার পর আসামীদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

বাগমারায় মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আরও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেউলা রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মাস্টার (৫২), জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০) এবং দুর্গাপুরের দেবীপুর গ্রামের চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাক (৩৫)।

অন্যদিকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি (২২), একই গ্রামের লবির উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (৩০), দুর্গাপুরের খিদ্রকাশিপুর গ্রামের ছাবের আলীর ছেলে রুস্তম আলী (২৬) এবং খিদ্রলক্ষ্মীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির (২৩)।

রায় ঘোষণাকালে মামলার সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ বছরের এপ্রিলেই মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলায় ৫১ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

মামালার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারার দেউলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আকলিমা বেগমের বড় ছেলে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় নাটকীয় মোড় নেয় এই জোড়া খুনের তদন্ত। তিন দফা বদল করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা।

সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে আদালতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী দুইজন।

 

আরপি/এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top