রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে এখন রাজশাহীতে


প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২০ ০৫:৪২

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪২

ছবি: এন্ড্রু কিশোর ও তার ছেলে-মেয়ে

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর থেকে বাবা এন্ড্রু কিশোরকে শেষবারের মতো দেখতে অস্ট্রেলিয়া থেকে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন তার মেয়ে এন্ড্রু সংজ্ঞা। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর থেকে সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে ঢাকা হয়ে রাজশাহী ফিরেছেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তার রাজশাহী ফেরার কথা থাকলেও একদিন আগেই পৌঁছেছেন তিনি। তবে আগে এলেও আগামী বুধবারই (১৫ জুলাই) এই কিংবদন্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা যায়।

সোমবার সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের বড় বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মেয়ে আগে ফিরলেও এন্ড্রু কিশোরকে সমাহিত করার দিন (১৫ জুলাই) ঠিক রাখা হয়েছে। ওইদিনই তাকে তার পছন্দের জায়গায় সমাহিত করা হবে। তবে পরিবর্তন আনা হয়েছে- শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজে। কিন্তু এখন তা আর হচ্ছে না।

তিনি জানান, ১৫ জুলাই সকাল ৯টায় এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হিমঘর থেকে সরাসরি সিটি চার্চে নেওয়া হবে। সেখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে পাশে থাকা বাংলাদেশ চার্চের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। তবে কেন এই পরিবর্তন, সেটি জানননি ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস।

বাবা এন্ড্রু কিশোরের যেই ছবি বাঁধাই করেছিলেন, সেই ছবি বুকে নিয়েই রাজশাহী ফিরেছেন সংজ্ঞা। রাজশাহী ফেরার পর বাবার ছবিটি জড়িয়ে কাঁদছেন বাড়িতে। বাবার শেষ বিদায়ের জন্য নিজেই তৈরি করে এনেছেন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ব্যানার। এন্ড্রু কিশোরের দুই সন্তানই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তার মৃত্যুর পর ছেলে জয় এন্ড্রু সপ্তক ফিরেছেন গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই)। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বড় মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা টিকিট না পয়াওয়ায় ফিরতে দেরি হয়েছে।

রাজশাহীর সার্কিট হাউস ও কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে খ্রীস্টিয়ান কবরস্থানে শায়িত হবেন এন্ড্রু কিশোর। কবরস্থানে ঢুকেই বাম পাশের একটি স্থান তার পছন্দ। জায়গাটি তিনি আগেই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। সে অনুযায়ী সমাধির স্থান প্রস্তুত হচ্ছে। এই কবরস্থানেই সমাহিত হয়েছেন শিল্পীর বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মা মিনু বাড়ৈ।

রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া এন্ড্রু কিশোর প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তাকে বলা হয় ‘প্লেব্যাক সম্রাট’। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সিঙ্গাপুরেই ছিলেন চিকিৎসার জন্য।

গত ১১ জুন দেশের ফেরার পর বোনের বাসায় ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় সেখানেই উপমহাদেশের এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মরদেহ এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে।

 

আরপি/আআ-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top