রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

এমপি এনামুলের বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ


প্রকাশিত:
২ জুন ২০২০ ১৭:৪৭

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৭

রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জি. এনামুল হক

রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জি. এনামুল হকের বিরুদ্ধে গোপনে বিয়ে করে প্রতারণা ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ করেছেন আয়েশা আক্তার লিজা নামে এক নারী। এসব অভিযোগে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।


তবে এমপি এনামুল হকের দাবি, তিনি লিজার চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে বিয়ে করেছেন। পরে দেশের আইন অনুযায়ী তালাক দিয়েছেন তাকে।

লিজা এসব কথা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ দিয়েছেন রাজপাড়া থানায়।

আয়েশা আক্তার লিজা অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে এমপি এনামুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সূত্রপাত হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিলে তারা ধর্মীয় বিধিমতে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কারণে সামনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় তখন বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি এনামুল হক।

লিজা বাগমারার এমপি এনামুল হকের বাড়িতে এবং রাজশাহী ও ঢাকার বাড়িতে একসঙ্গে আট বছর সংসার করেন। তবে কোনো দিন বাইরের কারও সামনে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি এমপি এনামুল হক।

এর পর ২০১৫ সালে লিজা গর্ভবতী হলে এনামুল হক তার বাচ্চা নষ্ট করান। তখন এনামুল হক তাকে আশ্বাস দেন– আবারও এমপি হতে পারলে তাকে বাচ্চা ও স্বীকৃতি দেবেন। সে জন্য লিজা অপেক্ষা করছিলেন। কথামতো, ২০১৮ সালের ১১ মে তারা রেজিস্ট্রি করে আবারও বিয়ে করেন।

লিজা আরও অভিযোগ করেন, ‘বিয়ের নামে এমপি এনামুল তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার জীবন নষ্ট করেছেন। কখনও সবার সামনে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেননি। ভ্রূণ হত্যা করেছেন। এখন তিনি বলছেন, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এনা গ্রুপের মালিক এমপি এনামুল হক বলেন, ‘আমি বিয়ে করেছিলাম, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ডিভোর্স দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারব না– এটা তো হতে পারে না? সমস্যা থাকলে সে কোর্টে যাবে। আমি আইনানুযায়ী ফেস করব।’

এমপি এনামুল পাল্টা অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘লিজা চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইল করার জন্যই এসব অভিযোগ করছে। আমার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্লাকমেইল করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫তলা বাড়ি করেছে।

২০১৫ সালে লিজার ভ্রূণ হত্যার বিষয়ে সাংসদ এনামুল বলেন, ‘বিয়েই করেছি ২০১৮ সালে। ২০১৫ সালে কোত্থেকে বাচ্চা এলো? প্রয়োজন হলে কোর্টে যাবে। গত ২৪ এপ্রিল ডিভোর্স দিয়েছি। লকডাউনের কারণে হয়তো চিঠি পায়নি, পেয়ে যাবে।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top