রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার ৪
রাজশাহীতে ডাকাতির অর্থসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নগরীর বোয়ালিয়া থানার বিলসিমলা এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে টিপু সুলতান (২৫), রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রুবেল ইসলাম (২৫) ও থানার দাশপুকুর ব্যাংক কলোনী এলাকার মশিউর রহামানের ছেলে মো. মুশফিকুর রহমান ওরফে মনিপ (২৩)। এরআগে, নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকা হতে ওই এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে নুরু (২১) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের কাপাশিয়া এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানীর গাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় তারা কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছে থাকা প্রায় ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং হাতে থাকা সোনার আংটি নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর কোম্পানীর প্রতিনিধি শামীম পারভেজ কাটাখালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারসূত্রে কোম্পানীর ওই প্রতিনিধির ডাকাতির হওয়া মোবাইল নম্বরটি ট্রাক করে জানা যায়, নগরীর মহিষবাথান এলাকার নুরু নামক একজন ব্যবহার করছে। পরে সেখানে গিয়ে নুরুকে আটক করা হয়। এসময় নুরুর কাছে থেকে ডাকাতির ভাগের অর্থ বাবদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরু রুবেল নামক ডাকাত দলের এক সদস্যের কথা বলে এবং একটি গাড়ীর বর্ণনা দেয়। নগরীর লক্ষীপুর সংলগ্ন জিপিও এর সামনে রাতভর অপেক্ষা করে ভোরের দিকে রুবেলকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রুবেল ওই ওষুধ কোম্পানীর ড্রাইভার টিপুর তথ্যের ভিত্তিতেই ডাকাতি হয়েছে বলে জানায়। পরে টিপুকেও ধরা হয়। তার কাছে থাকা ডাকাতির অর্থের ভাগ বাবদ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৪৭ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মুশফিকুর রহমানকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরপি/ এআর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: