রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাট বাজারে দেখা নেই গোপাল ও খিরাসাপাতের


প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২০ ০১:৪৪

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৪:১৫

আমের ছবি

দেখে আসেন, বাজারে গোপাল কিংবা খিরসাপাত একটা আমও খুঁজে পাবেন না। শুক্রবার সকালে গোপালভোগ আমের খোঁজ নিতে চাইলে এ কথা বললেন চারঘাট সদরের আম ব্যবসায়ী শাহীন আলী।

চারঘাট উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেল, আমের দোকানে বিক্রি হচ্ছে পেয়ারা,লিচু,ডাবসহ নানা ফলমূল। আমের মৌসুম ছাড়া এখানে পাইকারি বিক্রেতারা অন্যান্য ফল বিক্রি করে থাকে।

সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমের ফড়িয়া বিক্রেতারা বলেন, ‘আমরা তীর্থের কাকের মতো দাঁড়িয়ে আছি "গোপাল" ও "খিরসাপাত" এর জন্য। কিন্তু কারও দেখা নেই। আমাদের কর্মও শুরু করতে পারছি না।’
এখানকার আম ব্যবসায়ীরা গোপালভোগ আমকে সংক্ষেপে ‘গোপাল’ বলে থাকেন এবং হিমসাগর আমকে "খিরসাপাত"।

অপরিপক্ব আম বাজারে আনা ঠেকাতে বিভিন্ন বিখ্যাত সুস্বাদু জাতের আম বাজারজাত শুরু করার তারিখ বেঁধে দেয় জেলা প্রশাসন। সে হিসাবে ২০ মে গোপালভোগ ও ২৮ মে হিমসাগর আম বাজারজাত করার শুরুর দিন।

কিন্তু কোথাও গোপালভোগ ও হিমসাগরের দেখা নেই। এমনকি অন্য জাতের আমও বাজারে খুব বেশি নেই। আমের জন্য যদি রাজশাহী বিখ্যাত হয়, তবে রাজশাহীর সেই আমের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চারঘাট-বাঘা। কেননা, চারঘাট ও বাঘাতেই রাজশাহীর সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয়।

আমের সময় এসব উপজেলার স্থানীয় আড়ত ও বাজারগুলোতে বিক্রি হয় কাঁচা পাকা আম। চারঘাটে তাই অপেক্ষা করা হলো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। কিন্তু বাজারে কোনো আমের দেখা নেই। চারঘাট উপজেলার পরানপুর গ্রামের আড়তদার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জুনের প্রথম সপ্তাহের পরে আমের বাজার জমবে।

করোনা আতঙ্কের কারনে আম ব্যবসায়ীরা তেমনভাবে আম কেনা শুরু করেনি। যেহেতু কয়েকদিনের মধ্যে সল্প পরিসরে গাড়ি ও ট্রেন চালবে,তাতে আমের বাজারও একটু জমবে। একই কথা জানালেন আরো কয়েকটি আড়তদার'।

তবে ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বাঁকড়া বাজারের আমের আড়তদার বাচ্চু আলী বললেন, ‘আমার আড়তে দুজন ব্যাপার এসেছেন। তাঁরা গোপালভোগ আম চাইছেন। কয়েকজন বাগানওয়ালাকে বলেছি, আগামী সপ্তাহে আম নিয়ে আসবে।

আগামী সপ্তাহে বাজারে গোপালভোগ দেখতে পাবেন।’কয়েকজন আম ব্যবসায়ী ও চাষি জানান, চারঘাট-বাঘার আম এবার ‘নামলা’। অর্থাৎ, কিছুটা দেরিতে পাকবে। কারণ, এবার মুকুল এসেছে কিছুটা দেরিতে।


চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান বলেন, এপ্রিল ও মে মাসের ১০-১২ দিন আকাশ ছিল মেঘলা। তাপমাত্রাও ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আম ঠিকমতো রোদ পায়নি।

এ জন্য আম পাকতে এক সপ্তাহ দেরি হচ্ছে। গাছে মুকুলও এসেছিল একটু দেরিতে। তবে সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে গোপালভোগ ও হিমসাগর আম বাজারে আসবে।

 

 

আরপি / এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top