রাজশাহী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর

মহাদেবপুরে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ মৎস্য অফিসের কর্মচারী আটক


প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২০ ১৯:০২

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ১৯:১৫

৬৮ কেজি গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ মৎস্য অফিসের কর্মচারী আটক

নওগাঁর মহাদেবপুরে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী রিপন হোসেন (৩৩) সহ সাতজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৫। এসময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রোববার রাত ৯টার দিকে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংক এশিয়ার সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর এবং নওগাঁ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বদিউল হকের ছেলে রিপন হোসেন (৩৩), জেলার মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে আলম ইসলাম (২৬), পত্নীতলার ঘোষনগর গ্রামের দইমুদ্দিনের ছেলে সেকান্দার (৪৫),

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালীকৃষ্ণনগর অহিদ মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (৩৪), রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শিবু পাঠানপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনর ছেলে আতাউর রহমান (২৮), নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম গ্রামের মৃত মিজান উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব (২৮) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের নজুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (২৭)।

র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ পিপিএম সেবা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে উপজেলা পরিষদের সামনের পাকা রাস্তায় এবং বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংক এশিয়ার সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের সদস্যরা।

অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুইটি ট্রাকসহ সাতজনকে আটক করা হয়। এসময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।তিনি আরো বলেন, রিপন হোসেন ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।

২০১১ সালে সরকারী চাকুরী অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত মাদকের বড় বড় চালান কুমিল্লা, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখে।

একজন সরকারী কর্মচারী হয়েও তার এ ধরণের আইন ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ড ইতোপূর্বে সর্বদা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তাকে এবং তার সিন্ডিকেটের অপর ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলাসমূহে মাদক পরিবহনের সমগ্র চক্রটি কার্যতঃ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বে বলে আশা করা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

 

 

আরপি / এমবি

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top