রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

বাঘায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জমতে শুরু করেছে ঈদের বাজার !


প্রকাশিত:
১১ মে ২০২০ ০০:৩৯

আপডেট:
১১ মে ২০২০ ০৩:৩৬

কেনা-কাটা

রাজশাহীর বাঘায় পোশাক বাজার ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে ঈদকে ঘিরে স্বাস্থ্য বিধি মেনেেই চলছে কেনা-কাটা। এসব দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। রোববার বাঘা পৌর সদরে নুর প্লাজা,সাত্তার প্লাজা, আঞ্জুমান সুপার মার্কেট,ডাঃ মজিবর প্লাজা,নিউ আর প্লাজা ও কলেজ মাকের্টেসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে পোশাক দেখা আর বেচা-কেনার জমজমাট চিত্র দেখা গেছে।

পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে বাজারে এসেছেন অনেকে, ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক বাছাই এবং দরদাম করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দোকান বন্ধ করে এতদিন বসে থাকার কথা জানালেও এদিন ক্রেতাদের উপস্থিতি ও বিক্রিতে সন্তুষ্টি ঝরেছে দোকানিদের কণ্ঠে।

ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সকালে সাত্তার প্লাজায় আসেন তারিক হোসেন। ছেলে-মেয়ের জন্য সালোয়ার-কামিজ, পাজামা-পাঞ্জাবি ও জুতা কিনে ফেরার পথে কথা হয় তার সঙ্গে।

“স্কুল পড়ুয়া দুজনের ঈদের কেনাকাটা আজকে সেরেছি। আমাদেরগুলো পরে কিনব।”দাম আগের তুলনায় একটু বেশি হওয়ার কথা জানিয়ে তারিক বলেন, “ঈদ বাজারতো, দাম একটু বেশি রাখবেই। দু-একশ টাকা বেশিতো কিছু না।”

দুপুরের পর নুর প্লাজা, ডাঃ মজিবর প্লাজা ও নিউ আর প্লাজা সুপার মার্কেটে গিয়ে পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতা উপস্থিতি বাড়ছে বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ডায়মন্ড ক্লথ ষ্টোরের মালিক সুজিত সরকার। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার বেচা বিক্রি করা যায়নি বলে জানান তিনি।

রুপায়নের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, “মার্কেটে দোকানতো অনেক। মানুষ আসছে, দেখছে, ফিরছে পছন্দের পোশাক নিয়ে। বিগ বাজারের ব্যবসায়ী সুজয় সরকার বলেন, মেয়েদের সুতি, তাঁতসহ নানা ধরনের কাপড়ে বাহারি ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া এবং ছেলে-বড়দের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। মেয়েদের পোশাকের দাম ১২শ’ থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা এবং ১ থেকে ৫ হাজার টাকায় ছেলেদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার করোনার কারণে বাজার পাওয়া নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে প্রয়োজন মতো মালামাল ক্রয় করা সম্ভব হয়নি তাদের। সরকারি নির্দেশনা মানতে গিয়ে তাদের অধিকাংশ সময় থাকতে হয়েছে ঘরে।

তারা জানান, এবার লাভবান হবেন না। কারণ বিগত বছরগুলোতে রমজানের শুরু থেকে বিক্রি বাড়লেও এবার তা হয়নি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দেশে বাজার কেমন যাবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মানুষ কিনবে কীভাবে কেনাকাটা করবে,তা নিয়েও রয়েছে দুঃচিন্তা? এর আগে অনেক লোক ঈদের আগে বাইরে থেকে গ্রামে এসে কেনা কাটা করেছেন।

এবার আসতে পারবেন কি-না সেটাও স্পষ্ট নয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা দুর্যোগে কর্মহীন দেশের অধিকাংশ মানুষ। ডাল-ভাতের জন্য তাদের যুদ্ধ করতে হয়। ত্রাণের আশায় থাকতে হয়। তাই ঈদের কেনাকাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।

তারা বলেন ১৬ রোজা পার হয়েছে। এর আগে ঘরে বসে থাকতে হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রমজান শুরুর ২/১ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন মালামাল তুলেছেন। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে ঈদের কেনাকাটা।


ব্যবসায়ী রায়হান জানান, প্রতিবছর ঈদের কেনা কাটায় পোষাকের সাথে মানানসই জুতা-সেন্ডেল ও কসমেটিক্স কেনার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। সাজ ঘরের মালিক আব্দুল কুদ্দুস সরকার জানান,ঘর সাজাতে ঐতিহ্য সচেতন ক্রেতার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশী।

এবার ঈদে বেশি বিক্রি করবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন,সরকারি নির্দেশনা মেনেই সবকিছু করতে পারবে। এর পরেও ব্যবসায়ীরা যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে দোকান বন্ধ রাখে,তাহলে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।

 

আরপি / এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top