রাজশাহী রবিবার, ৬ই এপ্রিল ২০২৫, ২৩শে চৈত্র ১৪৩১

ভিড় কমাতে রাজশাহী কারাগারের ৩৩ কয়েদির সাজা মওকুফ


প্রকাশিত:
৩ মে ২০২০ ২২:১৩

আপডেট:
৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:০৪

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩৩ জন কয়েদির সাজা মওকুফ করে দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ১৭ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সারাদেশ থেকে তালিকা পাওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৮৮৪ জনকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে রাজশাহীর ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য শনিবার (২ মে) তিনি চিঠি পেয়েছেন। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাজা মওকুফ করা হয়েছে। ৩৩ জনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কারাগারের এই কর্মকর্তা জানান, সরকার শুধুমাত্র কারাদণ্ড মওকুফ করেছে। তবে জরিমানা মওকুফ নয়। অনেকেরই মামলার রায় ঘোষণার সময় কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়ে থাকেন আদালত। যাদের অর্থদণ্ড ছিলো না তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর ১৬ জনের অর্থদণ্ড পরিশোধ করা নেই বলে তারা যেতে পারছেন না। এখন ব্যাংক খোলা আছে, বন্দিদের স্বজনরা টাকা জরিমানার টাকা জমা দিলেই বাকি ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়া হবে।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে ৫০ থেকে ১০০ ভাগ ভাড়া মওকুফ করলো যেসব মেস

গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের মুহূর্তে প্রতারকদের অন্য বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বন্দীর স্বজনদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ টাকা চাইলেই তারা যেন না দিয়ে দেন। কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই যেন তারা ব্যাংকে টাকা দেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু রোববার এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬১০ জন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঝুঁকি কমাতে আরও দুই দফায় এখান থেকে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top