রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

বিনামূল্যে সার ও বীজ পৌঁছে দিলেন কৃষি অফিসার


প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২০ ২১:১৮

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২০ ২১:২৮

বিনামূল্যে সার ও বীজ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন কৃষি অফিসার
 
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী’র আওতায়  ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রথম পর্যায়ে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ শুরু হয়েছে ১২ এপ্রিল। 
 
এই সার ও বীজ  উপজেলা সদর থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করে এবং করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দরত্ব বজায় রাখার জন্য কৃষি অফিসার নিজ উদ্যোগে ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীজ ও সার পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়াও করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলার জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে অতিরিক্ত সবজির বীজও পৌছে দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
 
সরকারী ছুটির দিন হলেও শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারাদিন উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চৈতন্যপুর, হাতিবান্ধা, নিমঘুটু ঈশ্বরীপুর, ভাগাইল, গোলাই এবং কদমশহরসহ বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি সার ও বীজ পৌঁছে দেন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম।
 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রণোদনা কর্মসূচী আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আউশ ও পেঁয়াজ বীজসহ জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, এমওপি সার ১০ কেজি এবং ডিএপি সার ২০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলায় মোট ৪৪ হাজার ৫৪৯ জন কৃষককে ৫ কোটি ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের করোনাভাইরাসের কারনে সৃষ্ট সংকটকে মোকাবেলা করবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে কোন কৃষি জমি পতিত না থাকে এজন্য জোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরই আলোকে সেচ, সার, বালাইনাশক সরবরাহ অব্যাহত রাখা, শ্রমিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষি যান্ত্রীকিকরণ, পুকুরপাড় ও রাস্তার পাশে সবজি চাষ, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে সম্ভাবনা স্থানে পেয়ারা, লেবু, পেঁপে ও অন্যান্য ফল চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।
 
তিনি আরও বলেন, সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা উপজেলা সদরে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও  মানুষ যাতে একসাথে বেশি না জমায়েত হয় সেজন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে দিচ্ছি। যদিও একটু কষ্ট হচ্ছে, ঝুঁকি নিয়েই আমিসহ আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাচ্ছি। কৃষকের পাশে থাকতে নিরন্তর আমাদের ছুটে চলা।
 
এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে খাদ্য সংকট নিরসনের জন্য কিছু সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছি যাতে তারা বসত বাড়িতে সবজি চাষ করে সংকটের সময়ে সবজি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।
 
 
আরপি/ এআর


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top