রাজশাহী শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২

বাগমারার সুখেন হত্যাকান্ডের নেপথ্যে পরকীয়া


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৫৭

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০৪:২৯

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সুখেন কুমার হত্যাকান্ডের নেপথ্যে পরকীয়া ও টাকার প্রোলোভন বলে গ্রেপ্তার কৃত আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে রাজশাহীর আদালতে। সোমবার রাজশাহীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানকালে এসব কথা স্বীকার করেন।

মামলা সূত্রে জানান গেছে, গত ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৯ নং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের ধামীন কামনগরের এক আমবাগানের মধ্যে একটি আমগাছের নীচে গলায় লাইলনের রশি পেঁচানো অবস্থায় শ্রী সুখেন কুমার সরকারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুখেন কুমার উপজেলার ধামিন কামনগর গ্রামের মৃত গোবিন্দচন্দ্র সরকারের ছেলে।

এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ভাই বাগমারা থানায় একটি হত্যা সংক্রান্ত নিয়মিত মামলা দায়ের করে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ (বিপিএম, পিপিএম) এর দিকনির্দেশনায় মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে বাগমারা থানা পুলিশ।

তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে, রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মোসাঃ তাহমিনা বেগম (৩৮) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে। তাহমিনা বেগম উপজেলার ধামিন কামনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী।

সোমবার (২০ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃত তাহমিনা বেগম (৩৮) ওই হত্যাকান্ডের বিষয়ে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে তাহমিনা বেগম বলে, মূলত অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ পরকীয়া ও টাকার লোভে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাহমিনা দুই বছর ধরে সুখেনের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে। এ সময় তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এছাড়া তাহমিনা পল্লব নামক এক ব্যক্তির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত এবং তার সাথেও এক পর্যায়ে তাহমিনার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এ বিষয়টি নিয়ে সুখেন ও পল্লবের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

এছাড়া সুখেন পল্লবের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা পেত যা পল্লব দিচ্ছিল না। পল্লব রাতের বেলায় এক আমবাগানে সুখেনকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য তাহমিনাকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় । এবং কৌশলে গত ১৯ এপ্রিল রাতের বেলায় তাহমিনাকে দিয়ে সুখেনকে আমবাগানে ডেকে নিয়ে আসে। সুখেন আমবাগানে আসলে সুখেন ও পল্লবের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে পল্লব ও তাহমিনা সুখেনের গলায় লাইলনের রশি পেঁচিয়ে সুখেনকে হত্যা করে লাশ আমগাছের নীচে ফেলে রেখে নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। তাহমিনাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top