রাজশাহী শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২

করোনা সংকটে মানবতার আরেক ফেরিওয়ালা গোদাগাড়ীর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৫

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০৪:২২

 

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মানবতার আরেক ফেরিওয়ালা হলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার কর্মহীন, অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে।

কখনো নিজ অর্থায়নে, কখনো সকারি, কখনো কোন দানশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারী সংস্থার অর্থায়নে নগদ টাকা, চাল, বা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষে মাঝে। করোনা মোকাবেলায় শক্ত হাতে অসহায় কর্মহীন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে গিয়ে তিনি ব্যতিক্রমী পথচলা শুরু করেছেন।

এখন লড়ছেন করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস নামক এক মহামারি যুদ্ধের সাথে। এই মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ক্ষুধা নিবারণে তিনি প্রাাণপোণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। সবকিছু মিলিয়ে তাঁর পরিচয় একজন মানবতার ফেরিওয়ালা।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদে চালের সঠিক ওজন যাচাই করে দুঃস্থ্য ও বিধবা নারীদের মাঝে চাল ও নগদ অর্থ তুলে দেন । এদিকে এমপির হট লাইনে এসএমএস দেওয়া গোদাগাড়ী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে কয়েকজন ভূমিহীন পরিারের মাঝে ত্রাণ তুলে দেন। এরপর গোদাগাড়ীর ইউনিয়ন পরিষদে ৪০ জন মোটর শ্রমিকের মাঝে নগদ ৫০০ টাকা ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বা বৃদ্ধ অসহায় মানুষের দূর্ভোগ কমাতে সোনালী ব্যাংকে কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরেই বয়স্ক বিধবা ভাতা টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী নিজ অর্থায়নে ও সবার সহযোগীতায় ত্রাণ তহবিল গঠন করে দুস্থ্য, অসহায় গরীবসহ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সার্বক্ষনিক খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছি আমরা। এমপির হট লাইনে অসহায় বা অনাহারে থাকা যে কেও কল বা এসএমএস দিলেই পৌঁছে যাচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।

তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, ব্যক্তি ছাড়া তাঁর নিজ তহবিল থেকে দশ লক্ষাধিক টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। এ পর্যন্ত সবমিলিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক, দিনমজুর, ভিক্ষুকসহ নিম্ন আয়ের সকল শ্রেণী পেশার হাজার হাজার পরিবারের মাঝে তিনি চাল, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। খাদ্য সহায়তা চলমান রয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য দিনরাত বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন তিনি।

মানবিক কারণে এসব খাদ্য সহায়তা কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান। বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক সহস্রাধিক কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যার কারণে সবাই ক্ষুধার জ্বালায় এক মানবেতর জীবনযাপন করছে। সেই অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে উপজেলার বিত্তবান, প্রবাসী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকেও খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেন।

এই খাদ্য সহায়তা বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে চাল, আলু, মসুরী ডাল/চানার ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও সাবান। পাশাপাশি সরকারিভাবে দুঃস্থ ও কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান চলমান রয়েছে।

চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগকে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসার চোখে দেখছেন। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করে তুলছেন। করোনার সংক্রমণরোধে উপজেলার বিভিন্নস্থানে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে হাট বাজার চালু, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top