রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরে পুকুর খননের নামে সরকারি দোহর ভরাট, এলাকাবাসীর ক্ষোভ


প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪২

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৫:৩৫

 

দুর্গাপুরের আমগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আরিফুল ইসলাম জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুকুর খননের নামে প্রায় ২৯ শতক সরকারি (খাস) দোহর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় খবর পেয়ে থানার পুলিশ তার পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রশাসন এখন ব্যস্ত। টিক এমন সময় আমগ্রামে প্রভাবশালী আরিফুল ইসলাম জুয়েল কৌশলে বাড়ীর সাথে পুকুর সংস্কারের নামে সরকারি দোহর ভরাটের কাজ শুরু করেছেন। যা ১৯২০সালের সরাকরি (খাস) খতিয়ান ভুক্ত প্রায় ২৯ শতক দোহর রয়েছেন। যা আরিফুলের পুকুরের পাড় দিয়ে ১১ ফিট ও দক্ষিণ পাশে ৭ফিট প্রশস্ত।

এক সময়ে মানুষ যাতায়াতের রাস্তাও ছিল। কিন্তু আরিফুল এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে না জানিয়ে বুধবার থেকে তার পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করেন। এসময় পুকুর পাশ দিয়ে প্রায় ২৯ শতক সরকারি (খাস) দোহর দখল নিতে ভরাট করতে থাকেন। এতে স্থানীয় লোকজন আপত্তি করলেও তিনি তা মোকাবেলা করার হুমকি দেন।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার জানান, ১৯২০ সালের সরকারি (খাস) খতিয়ান ভুক্ত ১১ফিট প্রসস্ত প্রায় ২৯ শতক সরকারি (খাস) দোহর রয়েছেন। যা দীর্ঘ কাল ধরে পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছে। দোহরের পাশেই এক সময় হাটও বসতো। তবে ওই হাটের স্থান এখন মালিকানাধীণ হয়ে গেছে। আর প্রায় ২৯ শতক যে দোহর রয়েছে সেটা এখনও সরকারি (খাস) রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আমগ্রামে প্রভাবশালী আরিফুল ইসলাম জুয়েল তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে পারে না। হঠাৎ কৌশলে তিনি সরকারি দোহরটুক দখল নিতে তার গভীর পুকুরটি শুকিয়ে দেন। এরপর বুধবার থেকে পুকুর সংস্কার শুরু করেন। আর পুকুরের মাটি দিয়ে তিনি সরকারি দোহর ভরাট শুরু করেন। এতে এলাকাবাসী বাধা প্রয়োগ করলেও তিনি কর্ণপাতেই করছেন না।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কনা জানান, সরকারি দোহর ভরাটের অভিযোগে ওই ব্যক্তির পুকুর খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন সরকারি জায়গা দখল করতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা বলেন, তিনি কিভাবে পুকুর খনন কাজ করছেন বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়াও প্রশাসনকে না জানিয়ে কিভাবে সরকারি (খাস) দোহর ভরাট করছেন তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top