রাজশাহীতে নৌকাডুবি:
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬, বধুসহ নিখোঁজ ৩
রাজশাহীর পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শ্রীরামপুর এলাকার মাঝ পদ্মার তলদেশ থেকে ডুবুরি তুলে নিয়ে আসে শামিম হোসেন (৩৫) ও তার সাত বছরের মেয়ে রশ্নি খাতুনকে। এ নিয়ে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
নিহতরা হলেন, একলাস (২৪), রতন (২৮), শামিম হোসেন (৩৫) ও তার সাত বছরের মেয়ে রশ্নি খাতুন , মনি খাতুন (৪০) এবং ছয় বছরের মেয়ে মরিয়ম খাতুন।
এদিকে নিখোঁজদের জন্য পদ্মাপাড়ে এখন স্বজনদের অপেক্ষা। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ।
পদ্মায় দুটি নৌকা ডুবে নিখোঁজদের সন্ধানে শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার তৎপরতা। ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগ দেয় রংপুর থেকে যাওয়া বিআইডব্লিউটিএর একটি দল। এর আগে, পদ্মার চারঘাট উপজেলায় নদী থেকে মনি খাতুন (৪০) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ের খানপুর গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বের-কনেসহ ইঞ্জিনচালিত দু’টি নৌকায় করে ডাঙ্গারহাটে ফিরছিলেন কনেপক্ষের ৪০ জন।
সন্ধ্যায় উত্তাল ঢেউয়ে নৌকা দু’টি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকজন সাতরে তীরে ওঠেন। ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাতেই মরিয়ম খাতুন নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: