রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

নগরীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিতহ ২ আহত ৪


প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:২৯

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হন আরও চারজন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নগরীর রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় 

তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুইজন আমিরুল ইসলাম (২২) ও আলমগীর হোসেন (৪৬)। নিহত আমিরুল নগরীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

আর আলমগীর নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার সুরুজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে এবং তিনি দির্ঘদিন থেকে দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি নগরীর বশিরাবাদ দাওয়াতুল ইসলাম আলীম মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- নগরীর চন্দ্রিমা থানার খড়খড়ি এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৯), কাটাখালি থানার কুখুণ্ডি এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে আবির ওরফে রাজা (২৬) এবং পবা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের রজব আলীর মেয়ে রওশন আরা বেগম (৪৫) ও পোড়াপুকুর গ্রামের কলিম উদ্দিনের মেয়ে কানিজ ফাতেমা কেয়া (২৬)।

আহত এবং নিহত সবাই অটোরিকশার যাত্রী। তারা সকলে একাধারে রাজশাহী মেডিকেলের ৮ নং ওয়ার্ড, ৫, ৪, এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

নিহত আলমগীরের সহকর্মীরা বলেন, তিনি বাজার থেকে বেতন তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। এবং বেতনের টাকা তুলে ছেলের নামে একটি ডিপিএস খোলা আছে সেখানে প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকা করে জামা দিয়ে থাকেন।

বেতনের টাকা তুলে ১০ হাজার টাকা ডিপিএসে জমা দিয়ে অটোরিক্সাতে করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এমন সময় নওদাপাড়া এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে তার বন্ধুরা ছুটে আসেন শেষ বারের মত বন্ধুর লাশ দেখতে।

তার বন্ধুরা বলেন, এক সাথে প্রতিদিন আমরা আড্ডা দেয় আজকে দুপুরে এক সাথে আড্ডা দিয়ে আসলাম। কিছুখন পরে শুনলাম সে নাকি এক্সিডেন্টে মারা গেছে।

মেডিকেল পুলিশের সুত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে পাওয়া একটি সেমফোনি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার একটি রশিদ পাওয়া যায়।

জানা যায়, নগরীর আমচত্বর-বেলপুকুর বাইপাস সড়কে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় অটোরিক্সা চালক আমিরুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে নিহত হন এবং আলমগীর হোসেনকে মেডিকেল নিয়ে আসার সময় রাস্তায় তিনি নিহত হন। নগরীর শাহমখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নগরীর আমচত্বর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্সটি নওগাঁর একটি বেসরকারি হাসপাতালের। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী ছিলেন না। চালক একাই ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তিনি পালিয়েছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সটি (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-১৫৫০) জব্দ করা হয়েছে।

ঘাতক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতাল থেকে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top