রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রী ধর্ষণ মামলা সাড়ে ৫ লাখ টাকায় মিমাংসা!


প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:৩২

আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:৩২

প্রতীকী ছবি

৩ মাস আগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলা সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় মিমাংসার খবর পাওয়া গেছে। বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাস ভবনে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দু’পক্ষের লোকজন নিয়ে বোর্ডের মাধ্যমে ঘটনাটি আপস-মীমাংসার খবর জানা গেছে। তবে ধর্ষণ মামলা আপস-মীমাংসার সুযোগ নেই বলে জানায় পুলিশ ।

জানা যায়, শালিসের দুইপক্ষ থেকে ৬ জনের বোর্ড গঠন করা হয়। বাদি পক্ষের ছিলেন-আব্দুস সোবহান মোল্লা, মজিবর রহমান, শমসের আলী ও আসামি পক্ষের বাবুল ব্যাপারি,আব্দুল করিম সেখ, ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী। তবে বোর্ডে ছিলেন না ইউসুফ আলী। ওই বোর্ড বাদির পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার রায় দেয়।

মজিবর রহমান ও আব্দুল করিম সেখ বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য বাদির পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার আলোচনা হয়েছে। তবে সব কিছু আইনি প্রক্রিয়ায় হতে হবে। কোন টাকা আদান প্রদান হয়নি।

আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীকে ‘বোবা মানুষ’ আখ্যা দিলেন জাপা নেতা চুন্নু

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন সকালের দিকে চকরাজাপুর বাজারে যাওয়ার পাঁকা রাস্তা থেকে ছাত্রীকে উদপুর গ্রামের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে শিমুল হোসেন(৩০) নামের একজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

অপর ২ জন- পারভেজ আলী(২৩) ও রকি আহমেদ পাহারা দিচ্ছিল। শিমুল হোসেন পলাশি ফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে। অপর ২জন একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে পারভেজ আলী(২৩) ও আসলাম হোসেন ব্যাপারির ছেলে রকি আহমেদ(১৮)।

রাতে ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে শিমুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা করেন। ঘটনার ৮দিন পর ঢাকার মানিকগঞ্জের বাস ষ্ট্রান্ড এলাকা থেকে শিমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় । সে জেল হাজতে রয়েছে, অন্যরা পলাতক। গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে শিমুল হোসেন। ছাত্রীর মা সৌদি প্রবাসি। ঢাকায় রিক্সা চালান ছাত্রীর বাবা। দাদার কাছে থেকে লেখা পড়া করে ছাত্রী ও তার ছোট ভাই ।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান বলেন, কিভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা যায়,সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেছে। সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি।

রাজশাহীর জজ কোর্টের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম মামুন জানান, কোনভাবেই আপসযোগ্য নয় ধর্ষণ মামলা ।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা জানান, শালিস করে ধর্ষণ মামলা মীমাংসার সুযোগ নেই। পলাতক আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

 

 

আরপি/এসআর-২১


বিষয়: ধর্ষণ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top