রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে

রাজন শেখ‘র খুনের বিচার দাবিতে থানা ঘেরাও


প্রকাশিত:
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৭

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫৬

 শাহ মখদুম থানার সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থানরত

রাজশাহীতে মালদা কলোনী ঈদগাহ মাঠ এলাকায় ব্যবসায়ী রাজন শেখ (৩০) খুনের বিচার দাবিতে থানা ঘেরাও করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে রাজনের পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ  হয়ে  শাহ মখদুম থানা ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ এলাকাবাসীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মালদা কলোনীর আরমান আলীর ছেলে সোহেল শেখ (৩০) এবং আলিফ শেখের ছেলে আবদুর রহিম শেখ (৪০)। সোহেল সম্পর্কে রহিমের ভাতিজা। সোহেলও একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন দোকানে তিনি মালামাল সরবরাহ করতেন। নিহত রাজন ছিলেন তার বন্ধু।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজন শেখ ঐ এলাকার আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে। গত শনিবার  রাজন খুন হয়। ঐ এলাকার ঈদগাহ মাঠে পান-সিগারেটের দোকান ছিল তার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও  জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বাবা রাজ্জাক শেখের নেতৃত্বে এলাকাবাসী রাজন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এরপর মিছিলটি নগরীর শাহ মাখদুম থানার সামনে গিয়ে অবস্থান করে। এরপর তারা থানার ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারী থানার ফটকের সামনেই বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় দশ মিনিট  পরে পুলিশ তাদের  সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজনের দোকানে যান সোহেল। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে রমজানের তলপেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। প্রকাশ্যে অনেক মানুষের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পরে লোকজন গুরুতর আহত রমজানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রাজনের মা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় সোহেল ও রহিমকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজনকে মারধরের জন্য সোহেলকে হুকুম দিয়েছিলেন। কোপানোর পর তাকে পালাতেও সাহায্য করেন। তবে ঘটনাটি ঘটে নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। আর এলাকাবাসী আজ সোমবার শাহ মখদুম থানা ঘেরাও করেন।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top