রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

অনেক উন্নত দেশ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে: মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৩

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৩:৩৩

ছবি: সম্মাননা প্রদান

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন নারীদের বাদ দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিতা নারীদের বীরঙ্গণা উপাধি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা বীরঙ্গণাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু নারী উন্নয়নের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং নারীদের চাকরিতে শতকরা দশ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেছিলেন। জাতির জনকের পথ ধরে শেখ হাসিনা নারীর কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তিনি জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, জয়িতাদের জন্য দেশব্যাপি নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জয়িতা অন্বেষণ নামের কর্মসূচির সূচনা করেছে। আজ যে বিপুল সংখ্যক জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে তা এ অভিনব কর্মসূচিরই ফলশ্রুতি।

নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য-সেবা বিপণন ও বাজারজাত করার জন্য দেশব্যাপী নারী বান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনা। রাজশাহীসহ দেশের তিনটি বিভাগে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। আর রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১২তলা জয়িতা টাওয়ার দ্রুতই উদ্বোধন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল (ভার্চুয়ালি), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমা, আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শামসুন্নহার ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী।

উল্লেখ্য, এ বছর রাজশাহী বিভাগ থেকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১০ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে ২৫ হাজার টাকার চেক, সনদ, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। জয়িতারা হলেন- শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ জয়িতা রাজশাহীর ড. সাঈদা আঞ্জু, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় রাজশাহীর মর্জিনা পারভীন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী পাবনার কেয়া ইসলাম, সফল জননী নারী পাবনার মনোয়ারা বেগম এবং নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী জয়পুরহাটের মৌসুমী আক্তার।

 

আরপি/এসআর-০৭


বিষয়: জয়িতা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top