রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

রাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার পাঁচ


প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:৪৮

আপডেট:
৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:১৩

ছবি: গ্রেফতার আসামিরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মারধর ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় অপহৃত শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করেছে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

গ্রেফতার অপহরণকারীরা হলো—নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রানীনগর হিন্দুপাড়ার ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), মৃত সুরে জামাল শেখের ছেলে পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীন পাল রুদ্র (২০) ও শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।

অপহরণের শিকার রাতুল কুমার বর্মন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে। তিনি রাবির চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে রফিকুল আলম জানান, মোবাইলে পরিচয়ের সূত্রে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবন সরকার মোবাইল ফোনে রাতুলকে হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বরে আসতে বলে। রাতুল সেখানে গিয়ে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সাথে কথা বলে। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের অপর সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে আসামি দাউদ ইব্রাহিমের একতলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একটি রুমে আটকিয়ে রাখে এবং মারধর করে।

রাত ৯টার দিকে আসামিরা মোবাইলে রাতুলের মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতুলের মা বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। আসামিরা বাকি টাকার জন্য রাতুলকে মেরে জখম করে। রাতুল আসামিদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে ঘরের বাইরে আসে এবং চিৎকার শুরু করে। আসামিরা রাতুলকে আবার ধরে ঘরে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট করতে থাকে।

এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। অপহরণের শিকার রাতুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top